![]() |
সংগৃহিত ছবি |
১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার টাকশালে ভুলবশত ২০টি কয়েন তৈরি হয়। সে সময় যুদ্ধসামগ্রী, যেমন বোমা, ফোনের তার তৈরিতে তামা বিপুলহারে ব্যবহৃত হতো। জোগান পর্যাপ্ত রাখতে তামার ব্যবহার অন্যান্য খাতে যতটা সম্ভব কমানো হয়। তাই দস্তার প্রলেপ লাগানো স্টিলের কয়েন ছাপানো হতো আমেরিকায়। সেই সময়েই টাকশালে ভুলবশত ২০টা তামার মুদ্রা তৈরি হয়।সেই তামার কয়েনগুলো বাজারে চলেও যায়।
কিছু দিন পর ছড়িয়ে পড়ে, এই লিঙ্কন (কয়েনের এক দিকে আব্রাহাম লিঙ্কনের ছবি থাকার জন্যই এই নাম) কয়েন ভুলবশত ছাপা হয়েছে এবং যে এই বিরল কয়েন ফেরত দেবেন ফোর্ড মোটর কোম্পানি তাকে ওই কয়েনের পরিবর্তে নাকি গাড়ি দেবে। এই অফারের লোভে নকল তামার কয়েনে বাজার ছেয়ে যায়।
বিরল কয়েনের বিনিময়ে গাড়ি পাওয়ার খবর জানতেন জন। কিন্তু ট্রেজারি এবং ফোর্ড মোটর কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, কয়েনের বদলে গাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব পুরোটাই ‘গুজব’। সবাই জনকে তখন বুঝিয়েছিলেন, এটা আসল লিঙ্কন কয়েন নয়। তা সত্ত্বেও কয়েনটা নিজের কাছে রেখে দেন জন।
২০১৮ সেপ্টেম্বরে জন মারা যান। তত দিনে তিনি জেনে গিয়েছেন তার কাছে থাকা কয়েনটি আসল। মৃত্যুর আগে তিনি চেয়েছিলেন কয়েনটা বিক্রি করে দিতে। যাতে তার অবর্তমানে এই বিরল কয়েন সঠিক জায়গায় পৌঁছে। ১০ জানুয়ারি জনের সংগ্রহের ওই কয়েন নিলামে ওঠে। ২ লক্ষ ৪ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে জনের ওই কয়েন। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য ২ কোটি টাকার বেশি। ২০১০ সালে এমনই একটি কয়েনের নিলাম হয়েছিল। পিটসফিল্ডে একটি লাইব্রেরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জন। নিলামের টাকা সেই লাইব্রেরির উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: