স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী
লীগের পক্ষে ধর্মপ্রাণ জনগণকে সম্পৃক্ত করতে নীরব বিপ্লব সাধন করেছে ওলামা লীগ। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশেই ওলামা লীগের জন্ম। মাননীয় প্রধামন্ত্রীর সাক্ষাত ছাড়া কোন
সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। -মাওলানা
আখতার হোসেন বুখারী
গতপরশু বিভিন্ন
গণমাধ্যমে প্রকাশিত আওয়ামী ওলামা লীগ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস
সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত বিবৃতি; যাতে
বলা হয়েছে ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের কেউ নয়। তাতে ওলামা লীগের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ওলামা লীগের
বক্তব্য হলো যে, ওলামা
লীগ কখনো দাবী করে নাই যে, ওলামা
লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন। তবে ওলামা লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে
উজ্জীবিত, মুক্তিযুদ্ধের
প্রেরণায় উদ্দীপিত, জামাত
শিবির তথা তাবত মৌলবাদ ধর্মব্যবসায়ীদের তান্ডব নির্মুলে নিবেদিত এবং জামাত শিবির ও
ধর্মব্যবসায়ীদের রাজনীতি বন্ধে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনরত একটি নির্লোভ, নির্ভিক
দল। বলাবাহুল্য
স্বাধীনতার পূর্বে বঙ্গবন্ধুর মৌখিক নির্দেশে এবং নব্বইয়ের দশকে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া, বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার মৌখিক নির্দেশেই ওলামা লীগের কার্যক্রম শুরু হয়।
২১.১১.২০০২ তারিখে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদলের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এছাড়া
তৎকালীন সেক্রেটারী জেনারেল জলীল সাহেব বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাছিমসাহেবসহ বিভিন্ন মন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে ওলামা লীগের কর্মকা-ে
শরীক হয়েছিলেন। বিভিন্ন
কর্মকা- করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং
ওলামা লীগ রাজপথের কার্যক্রমে সব সময় সামনের সারিতে ছিল এবং টিয়ারসেল, লাটিচার্জ
সব ওলামা লীগই বেশিরভাগে সহ্য করেছে। (এরকম শত শত ছবি আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে)
ওলামা লীগ বিশেষভাবে
বলতে চায়, ২০০১
সালে নির্বাচনে সুক্ষ্ম কারচুপীর মাধ্যমে যখন আওয়ামী লীগকে পরাজিত করানো হয়, তখন
আওয়ামী ওলামা লীগের, ওলামা, পীর-মাশায়েখগণ
সুদাসদনে গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সান্তনা দেন এবং বলেন, আপা
আপনি ধর্য্য ধারণ করুন, আপনার
জয় সামনে আসছে। ইনশাআল্লাহ!
তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুকুম দেন প্রত্যেক জেলায় জেলায়, থানায়
থানায় ওলামা লীগের কমিটি গঠন করুন। এবং
আলেম সমাজকে নিয়ে মাঠে আন্দোলন গড়ে তুলুন।
২০০২ সালে চার দলীয় জোট
হাওয়া ভবনের উস্কানীতে পুলিশ যখন ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের
মারধর করে কার্যালয় বন্ধ করে দেয়। তখন
সাধারণ সম্পাদক জলীল সাহেব ওলামা লীগকে ফোন করে বলেন, হুযূর, আওয়ামী
লীগ অফিস বর্তমানে কেবল আপনারাই চালু করতে পারবেন। তখন একমাত্র ওলামা লীগ রমনা মসজিদে
নামায পড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে কুরআন শরীফ পাঠ করে মীলাদ শরীফ পড়ে অফিস চালু
করেন। এবং
তার পরের দিন তৎকালীন সেক্রেটারী আব্দুল জলীল সাহেব বলেন, এবং
বর্তমান সেক্রেটারী ওবায়দুল কাদের সাহেবও বলেন, ওলামা লীগই আওয়ামী লীগের পরিক্ষীত কর্মী।
ওলামা লীগ দ্ব্যার্থহীন
কণ্ঠে বলতে চায়, আওয়ামী
ওলামা লীগ, আওয়ামী
লীগের পক্ষে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে নিরব বিপ্লব
সাধন করেছে। সুবহানাল্লাহ। সেতুবন্ধনের
কাজ করেছে।
প্রসঙ্গত দেশের প্রধান
বিচারপতি বলেছেন, “বিচার
বিভাগের গণতান্ত্রিক সমালোচনা করা যাবে”। আওয়ামীলীগের পক্ষে ইসলাম বিষয়ে এই
গঠনমূলক সমালোচনা করেছে, ওলামা
লীগ। কিন্তু
সেটা বলেছে, ইসলামের
ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্বীকার করে। ইসলামের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
অবস্থানের কথা ব্যক্ত করে এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে। উৎসাহ
দিয়ে বিনীত নিবেদনের সুরে।
আর এই কথাগুলো যদি ওলামা
লীগ এভাবে না বলতো তাহলে জামাত-হেফাজত প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগ কে ইসলাম
বিদ্বেষী ও হিন্দুবান্ধব আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত সমালোচনা করে আন্দোলন
করতো। এবং
অতীতের মতো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উস্কে দিতো। এক্ষেত্রে আমরা বিশেষভাবে বলতে চাই- ওলামা
লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে ‘আওয়ামী
লীগ ইসলাম বিরোধী দল’ জনমনে
এ ধারণা ৯০ ভাগ বিলুপ্ত হয়েছে। আর
এটা ওলামা লীগের অবদান।
আজ সুবিধাজনক সময়ে যারা
বলছেন যে, ওলামা
লীগ আওয়ামী লীগের কেউনা। এতে
আওয়ামীলীগ বিদ্বেষীরা বলবে যে, দেখ
আওয়ামী লীগ যে ইসলাম বিদ্বেষী তা আরেকবার প্রমাণিত হলো। আজকে
ইসলামের কথা বলাতে আওয়ামী লীগ ওলামা লীগকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চাইছে।
আমরা বিস্ময়ের সাথে
উল্লেখ্য করতে চাই যে, গত
১৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ধানমন্ডি ৩ নম্বরে দফতর
সম্পাদক ড: আব্দুস সোবহান গোলাপ দ্বার্থহীন কন্ঠে বলেছেন যে, ওলামা
লীগ আওয়ামী লীগের নিখাদ ও পরীক্ষিত ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। এবং
মিডিয়ার কাছে কিছু হাইব্রিড নেতার অস্বীকৃতির তিনি কঠোর সমালোচনা করেছেন।
আমরা দ্বার্থহীন কণ্ঠে
বলতে চাই- ওলামা লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুধু ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনই নয় বরং তারও
অনেক উর্ধে। কারণ
ওলামালীগের চালিকাশক্তি ও ভিত্তি হলো স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ইসলামী মূল্যবোধ এবং
জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ
ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সমূলে বিনাশ করা। প্রসঙ্গত এদেশে ধর্মপ্রাণ মুছুল্লীদের
শিকড় যত গভীরে প্রোথিত ওলামালীগের শক্তি তত বেশী উজ্জীবিত।
আমরা আরো বলতে চাই- জাসদের
গঠনতন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলকে দুর্নীতি, লুটপাট ও নির্যাতনের সরকার বলা হয়েছে, এছাড়া
ওয়ার্কাস পার্টিও আওয়ামী লীগের মত গণতান্ত্রিক মতবাদে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু
তারপরও তারা আজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের অঙ্গ। কাজেই আওয়ামী লীগের সহযোগী হতে হলে যে
একশতে একশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের সাথে মিল থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। ইসলামের
কথা বলেও যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত ও ভোট আনা যায়; ফসল
আওয়ামী লীগের ঘরে উঠে তবে অসুবিধা কী? আওয়ামী লীগ যেহেতু গণতন্ত্র বা ভিন্নমতে
বিশ্বাসী। এক্ষেত্রে
অনেকে বলতে পারেন জাসদ, ওয়ার্কাস
পাটি তো ভিন্নদল। সহযোগী
দল হিসেবে ওলামা লীগ কেন তাদের কথা বলবে। আমরা বলবো ১টা ভিন্নমতের ক্ষেত্রে একটা
উদাহারণ আর ওলামা লীগ যেহেতু ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে কাজ করে সেহেতু তারা
কৌশলগত কারণে ইসলামী শরীয়তের দু’চারটা
কথা বলতেই পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালের
মানবজমিনে এসেছে “ক্রিকেট
জুয়ায় কাপছে দেশ’। গত
পরশু দৈনিক প্রথম আলোতে এসেছে- জুয়ায় ভারতীয় নাগরিক আটক। তাহলে
দেখা যাচ্ছে জুয়ার বিষয়টি সারা দেশে আলোড়িত ও আলোচিত। অথচ
সবাই জানে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সে জুয়া বন্ধের জন্য স্মরণীয় এবং সেটা সংবিধানে
অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর
সেই আদর্শ স্মরণ করে ওলামা লীগ জুয়ার বিরুদ্ধে বলেছে। যা
বর্তমান সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, আমাদের
বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এবং আমাদের কর্মকা- বিকৃত, খন্ডিত
করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে
আমরা দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, ওলামা
লীগের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশে আমি আখতার
হোসেন বোখারী ২০০৪ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত
ছাড়া আমি বা আমার কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত নেবোনা; কার্যক্রম স্থগিত করবেনা। আমরা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতপ্রার্থী।
(পীরজাদা পীর মাওলানা
আখতার হোসেন বুখারী)
সভাপতি
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা
লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
(আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মো: আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী)
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা
লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
মোবাইল: ০১৮১৯-২৭৯৪৭৫।
(আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা
আব্দুস সাত্তার)
কার্যকরী সভাপতি
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা
লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: