কাশ্মীরের শ্রীনগরে অবস্থিত বিখ্যাত জামা মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। কাশ্মীরে চলমান অচলাবস্থার শেষ হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জনসম্মুখে বুলি আওড়িয়েছিলো কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গতকাল কাশ্মীরিদের উদ্দেশে সে বলেছে যে, ‘ঈদ সামনে। সবাইকে শুভকামনা। জম্মু-কাশ্মীরে ঈদের সময় যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছে সরকার। আসুন সবাই মিলে ভারতের সঙ্গে নয়া জম্মু-কাশ্মীর ও নয়া লাদাখ নির্মাণ করি।’
কিন্তু রাত গড়িয়ে সকাল হলেও নগরীর শ্রীনগরে অবস্থিত প্রধান জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেননি মুসলমানরা।
অভ্যন্তরীণ ছোট ছোট মসজিদে সতর্কতার সাথে নামাজ আদায় করতে পারলেও বিখ্যাত জামে মসজিদের ফটক বন্ধ করে দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদি ভারত সরকার।
প্রায় সব মসজিদের আশপাশের অঞ্চলে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যের নিরাপত্তার অজুহাতে জামে মসজিদের নামাজ আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে সে বলেছে, ‘ধীরে ধীরে কাশ্মীরের অচলাবস্থার অবশান হতে চলেছে। আজ স্থানীয় মুসলমানদের জুমা আদায়ের জন্য মসজিদগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। এতে কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার খাতিরে প্রধান মসজিদটি খোলা হয়নি।’
নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটে চলাচল-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও স্থানীয়দের নিজ নিজ এলাকার বাইরে অন্য অঞ্চলে যাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করে দিলবাগ সিং।
প্রসঙ্গত হঠাৎ করে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে ভারতনিয়ন্ত্রিত জুম্মু-কাশ্মীর। সোমবার ভারতের পার্লামেন্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সমাপ্ত করার একটি প্রস্তাব পাস করে মোদি সরকার। ওই রাজ্যকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার একটি বিলও পাস করানো হয়।
এর পরই ফুঁসে ওঠে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মুসলিম জনতা। মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে গোটা দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করার পরও রাস্তায় নেমে আসে শত শত কাশ্মীরি। গোটা রাজ্যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। শহীদ হন ৬ জন মুক্তিকামী আর আহত শতাধিক এবং হাজারের উপর গ্রেফতার।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
কাশ্মীর
ভারত
0 facebook: