স্বদেশবার্তা
ডেস্কঃ থাইল্যান্ডে গাছে ঝুলছে শত শত নারী। কথাটি শুনে অবাক হলেও সত্যি। কারণ আশ্চর্য দুনিয়ার
ততোধিক আশ্চর্য এই ফল৷ অবিকল নারী প্রতিকৃতি৷ রাশি রাশি ঝুলছে৷ হাত বাড়িয়ে পেড়ে
নারীদের গায়ে হাত পড়েছে বলে কেউ মামলা করতে আসবে না। এমনকি মেয়েটা বেশ পাকা হয়েছে৷
টক-টক মিষ্টি৷ নুন দিয়ে রসিয়ে খাওয়া যাবে৷ দিন তো ওই মেয়েটাকে পেড়ে খাও৷ এই কথাটি
বললেও কেউ কিছু বলবে না।
গণমাধ্যম
সূত্রে জানা যায়, থাইল্যান্ডে
এক অদ্ভুত জঙ্গল রয়েছে৷ সেখানেই দেখা যায় গাছ থেকে ঝুলতে থাকা কন্যাদের৷ একটি দুটি
নয়, শয়ে
শয়ে মহিলা ঝুলছে৷ এও এক অত্যাশ্চর্য দৃশ্য৷ দেখলে মনে হবে, সত্যি
থাই ভূমিতে মেয়েরা গাছেই ফলে৷
হিমফান(Himaphan) একটি
বহু প্রাচীন অরণ্য৷ সেখানেই রয়েছে ‘নারিফন'( Nariphon) গাছ ৷ থাই পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এই অরণ্যে
গন্ধর্বদের যাতায়াত রয়েছে৷ তারাই এই মহিলা আকৃতির ফলের আসল দাবিদার৷ স্বর্গ থেকে
নেমে এসে তারা এই ফলগুলি পেড়ে নিয়ে যায়৷
অবাক
করা ব্যাপার৷ হুবহু কিশোরী বা যুবতির আকৃতির মতো ‘নারিফন’ ফল দেখতে পাওয়া যায়৷ কেমন খেতে কেউ জানেন
না৷ লোকশ্রুতি এই ফল কোনও মানুষে খেলে তার মৃত্যু অবধারিত৷ ফলে নারিফনের স্বাদ কেমন তা জানা সম্ভব হয়নি৷
নানা
অবিশ্বাস ও গল্পের কেন্দ্র এই নারিফন ফল৷সংস্কার বশত কোনও থাই মহিলা এর কাছে যান না৷
যে দেখে সেই চমকে যায়৷ চমকে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ কেন এমন হয়? কী আছে
এই অত্যাশ্চর্য ফলের মধ্যে ?
অমরত্বের রহস্য? উত্তর খুঁজছেন তাঁরা৷
এদিকে
থাই পুরাণে প্রচলিত আছে,
দেবরাজ ইন্দ্র একবার তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে দুনিয়াতে এসেছিলেন৷ হিমফান
জঙ্গলে তাঁর স্ত্রী ফল পাড়তে এসেছিলেন৷ তাদের
উৎপাত করেছিল কয়েকজন৷ রেগে গিয়ে দেবরাজ ইন্দ্র এই নারিফন বৃক্ষ রোপণ করেছিলেন৷ এরপর
থেকে দেবরাজের স্ত্রী জঙ্গলের মাঝে এই নারী রূপী ‘নারিফন’দের মধ্যে লুকিয়ে ফল সংগ্রহ করেন৷
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: