স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ অতি দারিদ্র, ক্ষুধার্ত থাকা, সামাজিক মূল্যবোধে বৈষম্য এখনও তাদের নিত্য সঙ্গী। বিশ্বের প্রতি ১০০ জন পুরুষের অনুপাতে ২৫ থেকে ৩৪ বছর
বয়সী ১২২ জন নারী অতি দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বাস করেন। বিশ্বে পুরুষদের চেয়ে নারীরা আজও দুরবস্থায় রয়েছেন। অভাবের সংসারে নারীরা ক্ষুধার্তই থেকে যান। বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক
রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। টার্নিং প্রমিজেস ইনটু অ্যাকশানঃ জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইন দ্য ২০৩০ এজেন্ডা ফর
সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে নারীদের জীবনযাপনের চিত্র ফুটিয়ে
তোলা হয়েছে। ২০১৩ সালের টেকসই উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে রিপোর্টে বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হয়েছে।
জাতিসংঘের
রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে প্রতি ১০০ জন পুরুষের
অনুপাতে ১২২ জন নারী অতি দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বাস করেন। এর অর্থ, যেখানে
পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ১২.?৩ শতাংশ, সেখানে নারীদের ক্ষেত্রে তা ১২.৮ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে প্রায় ৫০ লাখ
নারী অতি ক্ষুধায় জীবনযাপন করেন। এর অন্যতম কারণ, বেশিরভাগ মেয়েরাই আজও শুধু ঘরই
সামলান। পারিবারিক সম্পত্তির অধিকার
থেকেও অধিকাংশ সময়ই তারা বঞ্চিত থাকেন। যদিও বা কিছু অংশ বাইরে কর্মরত, সেখানে আজও পুরুষ সহকর্মীদের থেকে মেয়েদের বেতন কম। এছাড়া সংসারের যাবতীয় দায়দায়িত্ব সামলানো, সন্তান এবং বাড়ির লোকেদের যধ্যে করতে গিয়ে মেয়েরা নিজেদের
অবহেলা করেন।
সারা বিশ্বের
প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দেশে নারীরা ছেলেদের থেকে ক্ষুধার্ত রয়ে যান। সাধারণত, যখন কোনো আর্থিক সমস্যা দেখা যায়, তখন এই বিভাজন আরও প্রকট হয়। রয়েছে অন্যদিকও। ২০১৫ সালেও দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ৩,০৩,০০০ মায়েরা শুধু সন্তান জন্ম
দিতে গিয়ে মারা যান। দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যুই ঘটেছে সাহারা মরুভূমির নিচের দিকের আফ্রিকার দেশগুলোতে। জাতিসংঘের রিপোর্টে আরও বলা হয়,
গত ১২ মাসে প্রতি পাঁচজনের একজন নারী, যার বয়স ১৫-৪৯ বছরের মধ্যে, সে তার পুরুষসঙ্গীর হাতে শারীরিক বা মানসিকভাবে অত্যাচারিত হয়েছেন। এর মধ্যেই কিছুটা আশার আলোও
রয়েছে। দেখা গেছে, ২০১৫ সালে প্রাথমিক স্কুলে ছাত্রীদের ভর্তির হার ছিল ৯০.৩ শতাংশ। ২০০০ সালে এ হার ছিল ৮২.২ শতাংশ। তা সত্ত্বেও প্রায় দেড় কোটির
ওপর মেয়েরা জীবনভর নিরক্ষরই রয়ে যায় বলে দেখা গেছে রিপোর্টে। অফ্রিকার দেশগুলোতে নারীদের অবস্থা আরও খারাপ। যেখানে মাত্র ২৫.৭ শতাংশ
কিশোরী প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হয়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
লাইফস্টাইল
সারাদেশ
0 facebook: