03 April 2018

ইহুদিদের সঙ্গে বিরোধ রাখা যাবেনা প্রমান করতে নবীজীর ইহুদী স্ত্রী ছিলেন দাবিঃ বিন সালমানের

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। এতদিন লুকিয়ে লুকিয়ে পানি খেলেও এবার প্রকাশ্যে ইসরায়েলিদের অধিকার নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে মুখ খুলেছে সৌদি যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমান। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিককে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সালমান বলেছে, ‘আমি যে কোন স্থানেই প্রতিটি মানুষের শান্তিপূর্ণ বসবাসের অধিকারে বিশ্বাস করি। আমি মনে করি ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ইসরায়েলিদেরও নিজেদের ভূমিতে বসবাসের অধিকার আছে।

এই সময় সে আরো বলে, ‘সৌদি আরবের ইহুদিদের সঙ্গে কোন সমস্যা নেই কারণ হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহুদি নারীকে বিয়ে করেছিলেন (নাউযুবিল্লাহ)। খ্রিস্টান, মুসলিম ও ইহুদিদের সঙ্গে কোন বিষয়েই কোন দ্বন্দ্ব নেই আমাদের। তাছাড়া ইসরায়েলের বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ এবং তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক স্বার্থ জড়িত। শান্তিপূর্ণ যে কোন ইস্যুতে পারস্য উপসাগরীয় দেশ এবং মিশর ও জর্ডানের মত দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের স্বার্থ রয়েছে।

সেই সঙ্গে সালমান বলে, ‘সৌদি আরব অবশ্যই জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদের মত ধর্মীয় অনুভূতি এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে সচেতন। আমাদের কারও বিরুদ্ধেই কোন অভিযোগ নেই। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ চুক্তির মাধ্যমে সবাই স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখবে।এছাড়া এই সাক্ষাতকারে সালমান ইরানকে মুসলিম ব্রাদারহুদ, আলকায়েদা ও আইএসএর শক্তির একটি অংশ বলে উল্লেখ করে বলে, ‘আয়াতুল্লাহ আল খোমেনির চেহারা হিটলারের মত। হিটলার পুরো ইউরোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে চেয়েছিল কিন্তু খোমেনি পুরো বিশ্বকেই কবজা করতে চান।

জার্মান ইসরায়েল সোসাইটি ক্রাউন প্রিন্সের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে বলে, ‘সৌদি আরব ইসরায়েলের শক্তিশালী সহযোগি দেশ।ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানায়, একজন আরব নেতার মুখ থেকে পাওয়া এই স্বীকৃতি বিরল।গণমাধ্যমটির খবরে আরো বলা হয়, ছেলের সঙ্গে সঙ্গে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজও ইসরায়েল-গাজা সংঘর্ষের পর সোমবার রাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করে। এই সময় সে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেয়ার প্রয়োজনিয়তা ব্যক্ত করেছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও রিয়াদ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে আসছে। সম্প্রতি মার্চে ভারতের বিমানকে সৌদিআরবের আকাশপথ দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শেখকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানায়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিন সালমান বিভিন্ন ইহুদি গোষ্ঠি ও ইসরায়েলি ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখা করে। আল জাজিরা, জেরুজালেম পোস্ট।

এই খবর মুসলমানদের সম্মুখে এলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ হয়। অনেক মুফতি তীব্র প্রতিবাদ করে তাদের ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কেউই ইহুদী বা বিধর্মী ছিলেন না। উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র খিদমত মুবারকে তাশরীফ নেওয়ার পূর্বেই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করেছেন এবং উনাদের মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ঈমান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

তাই সৌদি ওয়াবী ইহুদী প্রিন্স কর্তৃক মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ইহুদী বলায় সে, কুফরী করে মুরতাদ হয়ে গেছে। অতিসত্বর তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার ধ্বংস অনিবার্য


শেয়ার করুন

0 facebook: