22 June 2018

পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের মর্যাদা-ফজিলত ও গুরুত্ব কুরআন সুন্নাহর আলোকে



ধর্মীয় ডেস্কঃ মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কুরআনে ইরশাদ মোবারক করেনঃ মুমিনগণ, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে যখন পবিত্র নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালার স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝো। অতঃপর পবিত্র নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং মহান আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ তালাশ করো ও মহান আল্লাহ তালাকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [সূত্রঃ সুরাহ জুমুয়াহ শরীফ, আয়াত শরিফ ৯-১০]

আর হাদিস শরীফে এসেছেঃ আব্দুল্লাহ্ ইব্নে ইউসুফ (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) ও আবু হুরায়রা (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন জানাবত (ফরজ) গোসলের মত গোসল করে সালাতের জন্য আগমণ করে, সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমণ করে, সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। যে ব্যক্তি তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমণ করে, সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমণ করে সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমণ করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হয় তখন ফেরেশতাগণ জিকির শোনার জন্য হাজির হয়ে থাকেন।

আবু নুআইম রহমতুল্লাহি আলাইহি, আবু হুরায়ারা (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণনা করেন, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) খুতবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করেন। হজরত ওমর (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সালাতে সময় মত আসতে তোমরা কেন বাধাগ্রস্ত হও? তিনি বললেন, আজান শোনার সাথে সাথেই তো আমি অজু করেছি। তখন হজরত ওমর (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বললেন, তোমরা কি নবি করিম (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এ কথা বলতে শোননি যে, যখন তোমাদের কেউ পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের সালাতে রওয়ানা হয়, তখন সে যেন গোসল করে নেয়।

পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনের বৈশিষ্ট্য: ইসলামি শরিয়তের বিধানে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনের মাহাত্ম্য সীমাহীন। এই দিন মানব জাতির আদি পিতা- হজরত আদম (আলাইহিস সালাম) এর দেহের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত বা জমা করা হয়েছিল বলেই দিনটির নাম পবিত্র জুমুয়াহ শরীফ রাখা হয়েছে। পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনকে মহান আল্লাহ পাক সীমাহীন বরকত দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন। এটি সপ্তাহের সেরা দিন। হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী এই বরকতময় দিনটি আল্লাহ পাক বিশেষভাবে উম্মতে মুহম্মদিকে (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দান করেছেন।

নবি করিম (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন হচ্ছে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন। এই পবিত্র দিনে হজরত আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে উনাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। (মুসলিম শরিফ)

পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের সমগ্র দিনটিই অপেক্ষারঃ হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী মহান আল্লাহ পাক, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিবসের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত লুকিয়ে রেখেছেন, যে সময়টাতে দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। মহান আল্লাহ্র রসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের সমগ্র দিবসটির মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত লুকিয়ে আছে যে সময়টাতে কোন বান্দা যদি নামাজরত থাকে বা- তাসবিহ্-তাহলিল কিংবা দোয়ায় মশগুল থাকে তবে মহান আল্লাহ পাক তাঁর আকুতি অবশ্যই কবুল করে থাকেন। এই হাদিসের মর্ম অনুযায়ী বুঝা যায় যে, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন সবটুকুই অপেক্ষার। মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া কবুল করানোর জন্য দিনভরই প্রস্তুত থাকতে হবে।

বিশেষ সেই মূল্যবান মুহূর্তটি কখন- এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ আলেমগণের বিভিন্ন মন্তব্য রয়েছে। কেউ বলেছেন, ফজরের সময় থেকে সূর্যোদয় সর্যন্ত এই মুহূর্তটি রয়েছে। কারো মতে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের সময় শুরু থেকে খুতবা ও পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই সময়টি হতে পারে। কারো মতে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন আসরের সময় থেকে সূর্যাস্তের সময় পর্যন্ত এই সময় হতে পারে। এই ধরনের আরও কিছু বক্তব্য পাওয়া যায়।

হাদিস শরিফে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জুমা তোমাদের পারস্পরিক দেখা সাক্ষাত ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। তাই এই দিনটি রোজার জন্য নির্ধারিত করা সমীচীন নয়। পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের আগের রাত্রিটিও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের পূর্ববর্তী রাতে বনি আদমের সমস্ত আমল মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। (বুখারি শরীফ, আহমদ শরীফ)

পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনের ফজর নামাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যারা এই নামাজের জামাতে শরীক হন মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের সকল গোনাহ্ মাফ করেন এবং অফুরন্ত নিয়ামতের ভাগী করেন। একমাত্র সম্পর্ক ছিন্নকারীদের ছাড়া। অর্থাৎ ঐ হতভাগ্যদের কোন আকুতি পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনের ফজরের শুভক্ষণেও মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট কবুল হয় না। (বুখারি শরীফ)

হাদিস শরিফে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায়কারীর মত সৌভাগ্যবান আর কেউ হতে পারে না। কারণ, বান্দা যখন এই নামাজের পর হাত তোলে মুনাজাত করে তখন মহান আল্লাহ তায়ালা কোন অবস্থাতেই তা ফিরিয়ে দেন না। (বাইহাকি শরিফ)

পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে কোরান তেলাওয়াতঃ পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন ফজর থেকে মাগরীবের মধ্যবর্তী সময়ে পবিত্র আল কুরআনের সূরা ইয়াছিন শরীফ, সূরা হুদ  শরীফ, সূরা কাহাফ শরীফ এবং সূরা দোখান শরীফ তেলাওয়াত করা, এই সূরাগুলিতে বর্ণিত বিষয়বস্তু- অনুধাবন ও চিন্তাভাবনা করার বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিস শরিফের বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে। বাইহাকি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন সূরা হুদ পাঠ করো। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, যে ব্যক্তি পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার জন্য এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত বিশেষ নূরের বাতি জ্বালানো হবে। তিবরানি শরিফের এক বর্ণনায় রয়েছে যে, যে ব্যক্তি পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে বা রাতে সূরা দোখান তেলাওয়াত করে, আল্লাহ্পাক তার জন্য জান্নাতে একটা বিশেষ মহল নির্মাণ করেন।

পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে ও রাতে দরূদ শরিফ পাঠের ফজিলত: পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে ও রাতে বেশি করে দরূদ শরিফ পাঠ করার বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে ও রাতে আমার প্রতি বেশি করে দরূদ শরিফ পাঠ করো। যে ব্যক্তি এরূপ দরূদ শরিফ পাঠ করবে, হাশরের ময়দানে আমি তার জন্য আল্লাহ সামনে সাক্ষ্য প্রদান করব এবং সুপারিশ করব। (বাইহাকি শরিফ)

নবি করিম (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সুসংবাদের ভিত্তিতেই সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আবেদ-জাহেদ বান্দাগণ জুমা দিবসে সর্বাধিক দরূদ শরিফ পড়ে আসছেন। অত্যধিক দরূদ পঠিত হয় বলেই পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনকে ইয়াওমুজ্জাহারা অর্থাৎ ফুলেল দিবস এবং পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের রাতকে লাইলাতুজ জাহরা বা ফুলেল রজনী নামে অভিহিত করা হয়। দুনিয়ার জীবনে হেদায়তের পথ প্রদর্শক এবং আখেরাতের চিরস্থায়ী শান্তি ও মুক্তির ঠিকানা জান্নাতের জিম্মাদার হজরত নবি করিম (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর প্রতি দরূদ শরিফ ও সালাম পেশ করতে থাকা প্রত্যেক মুমিন নর-নারীদের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। বিশেষ সময় ও দিনক্ষণের প্রতি লক্ষ্য রেখে দরূদ শরিফ বেশি করে পড়ার চেষ্টা করা সবারই একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য।

পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের নামাজে হাজিরা ও খুতবা শ্রবণ: মুমিনের সাপ্তাহিক ঈদ সমাবেশ পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের নামাজে আগেভাগে হাজির হওয়া এবং মনোযোগসহকারে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের বয়ান ও খুতবা শ্রবণ করার বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলতের কথা বলা হয়েছে। হাদিসের বর্ণনায় আছে যে, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের জামাতের সময় মসজিদের দ্বারদেশে রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ অবস্থান গ্রহণ করে কে কখন হাজির হচ্ছে তা লক্ষ্য করেন। যারা নিতান্ত বিনয়, নম্রতা ও বিশেষ মনোযোগর সাথে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের হাজিরা দেন তাদের নাম রহমতপ্রাপ্ত বান্দাদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করে রাখেন। আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে শান্তির একটি আবাহ সৃষ্টি হয়। তাতে ইবাদতে মনোনিবেশ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। হজরত নবি করিম (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন শয়তান বাজারগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকজনকে কাজে কর্মে ব্যস্ত করে তোলে। আর ফেরেশতাগণ মসজিদের দরজায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা লিপিবব্ধ করতে থাকেন মুসল্লিগণের পর্যায়ক্রমে উপস্থিতি। যারা খুতবা শুরু হওয়ার পরে এসে তাড়াহুড়া করে সামনে আসতে চেষ্টা করে, হাদিস শরিফে তাদের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। ইমাম তিরমিযি রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক বর্ণিত হাদিস শরীফে আছে, যে ব্যক্তি পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের জামাতে  পরে এসে লোকজনের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে স্থান নিতে চেষ্টা করে সে যেন নিজের জন্য জাহান্নামে যাওয়ার একটি সেতু নির্মাণ করলো।

ইমাম আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন যে, একদা রাসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের খুতবা দিচ্ছিলেন, এ সময় এক ব্যক্তিকে উপবিষ্ট লোকদের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে দেখে অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গে বললেন, ওহে! বসে পড় দেরিতে এসেছ এবং অন্যদের কষ্ট দিচ্ছ।

খুতবা শ্রবণের গুরুত্ব: পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, যখন পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন নামাজের জন্য আহবান জানানো হয় (অর্থাৎ আজান দেওয়া হয়) তখন দ্রুততার সাথে মহান আল্লাহ তায়ালার জিকির (অর্থাৎ পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের খুত্বা) শ্রবণের প্রতি ধাবিত হও। আর ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ কর। (সূরা জুমুয়াহ শরীফ) পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অর্জনের লক্ষ্যে গোসল করা এবং সাধ্যমত উত্তম পোষাক পরিধান করারও হুকুম দেওয়া হয়েছে। জীবন জীবিকার ধান্দায় যাতে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের প্রস্ত্ততি ও খুত্বা শ্রবণে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, সে দিকটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে যে, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের গুরুত্বের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি ঝুকে পড়ো না। উত্তম রিযিকদাতা হচ্ছেন মহান আল্লাহ্ তায়ালা।

উপরে আলোচিত পবিত্র কোরানের আয়াত এবং ও হাদিস প্রমাণ করে যে, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিন এবং এ পবিত্র দিনের ইবাদত বন্দেগীর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান ও জীবন জীবিকার দোহাই দিয়ে এই দিনের গুরুত্ব বিনষ্ট করা কোন ঈমানদার ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনুধাবন করার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


শেয়ার করুন

0 facebook: