28 June 2018

৩ স্ত্রীর অত্যাচারে পুলিশের আত্মহত্যার চেষ্টা!


স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ ধামরাইয়ে তিন স্ত্রীর অত্যাচারে সেন্টু মিয়া নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেনপরে ব্যর্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন তিনিঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের বড় অমরপুর গ্রামে

এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের লেহাজউদ্দিনের একমাত্র ছেলে সেন্টু মিয়া বছর দুয়েক আগে ঢাকা জেলার থেকে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে (কঃ১৬৪৫) চাকরি নিয়োগ পানকিন্তু চাকরি পেতে সানোড়া গ্রামের অপর পুলিশ কনস্টেবল মো. সুমন আহম্মেদকে দিতে হয় নগদ ৭ লাখ টাকাগরিব বাবার পক্ষে এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য না থাকায় পাশের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলি এলাকার মো. সবেদ আলীর মেয়ে হাজেরা বেগমকে ৭ লাখ টাকার যৌতুকের বিনিময়ে চাকরিতে যোগদানের আগেই বিয়ে করেন সেন্টু মিয়াপরবর্তীতে কাবিন রেজিস্ট্রি করেনপ্রশিক্ষণ শেষ করে করে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে বকশি হিসেবে যোগদান করেন কনস্টেবল সেন্টু মিয়া

ঘরে স্ত্রীকে রেখে গেলেও মাস ছয়েক পরে মালা আক্তার নামে অপর এক নারী কনস্টেবলকে নোটারি পাবলিক আদালতে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন এর কিছুদিন পর মালা আক্তারের বান্ধবী শেফালী ঘোষকে সেন্টু মিয়া আবারও গোপনে বিয়ে করেনএদিকে শেফালীর আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের মাত্রা কমিয়ে দিলে সোমবার বিকালে তিনি কনস্টেবল মালা আক্তারকে নিয়ে সেন্টু মিয়ার গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হনবাড়িতে এসে সেন্টু মিয়াকে দেখে মালা জানতে পারেন তারই স্বামীকে গোপনে বিয়ে করেছে তার বান্ধবী

অপরদিকে বাড়িতে থাকা কনস্টেবল সেন্টু মিয়ার প্রথম স্ত্রীও জেনে যায় তার স্বামী চাকরিতে গিয়ে আরও দুটি বিয়ে করেছেনএ নিয়ে ওই বাড়িতে বেঁধে যায় চরম হট্টগোল

তিন স্ত্রী ওই পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে দেয়এতে কোনো উপায়ান্তর না দেখে ঘরের ভেতরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সেন্টু মিয়াদ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়সুস্থ হয়ে তিনি তিন স্ত্রীর জ্বালা-যন্ত্রণার কথা ভেবে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে হাসপাতাল থেকেই পালিয়ে যানএমন ঘটনায় হতবাক তার বাবা মাসহ এলাকাবাসীখবর পেয়ে শত শত উৎসুক গ্রামবাসীর ভিড় পড়ে যায় ওই পুলিশ কনস্টেবল সেন্টু মিয়ার বাড়িতে

এদিকে তিন স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতি ও চুলাচুলি লেগে যায় স্বামীর অধিকার নিয়েএলাকাবাসী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে

সেন্টু মিয়ার প্রথম স্ত্রী হাজেরা বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার পিতার টাকায় সেন্টুর পুলিশের চাকরি হয়েছেআমার সঙ্গে প্রতারণার উচিত শিক্ষা দেব আমিসতিনের ঘর করার জন্য আমার বাবা ওকে টাকা দেয়নি

সেন্টুর মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী মালা আক্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেনসরল বিশ্বাসে ওর বাড়িঘর ও বংশ পরিচয় না জেনেই বিয়ে করেছিসেন্টু বিয়ের সময় ভুল ঠিকানা দিয়েছেবিয়ের ১ মাস পর ওর আইডি কার্ডে ঠিকানা পাইছুটি না থাকায় এত দিন যেতে পারিনিফলে ওদের বাড়িতে যেতে আমার অনেকটা বিলম্ব হয়এখন আমি কী করব বুঝতে পারছি না

সেন্টু মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি বকশি হিসাবে শেরেস্তায় কাজ করার সুবাদে মালা আক্তারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়আর সে সম্পর্কের কারণেই সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আমাকে বিয়ে করেছেআমি এখন ফেঁসে গেছি

সানোড়া ইউনিয়নের ১নং ওর্য়াডে ইউপি মেম্বার আবদুর রাজ্জাক বলেন, সেন্টু মিয়া কাজটি খুবই খারাপ করেছেওর সঠিক বিচার করতে পারবে ওর ডিপার্টমেন্টআমরা এ ব্যাপারে কিছুই করতে পারব নাতবে এতটুকু বুঝি ওর চাকরি থাকা উচিত নয়


শেয়ার করুন

0 facebook: