স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদককারবারি জেলা যুবলীগ নেতা শেখ হারুনের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে শিশুশিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক অংশগ্রহণে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে ক্লাস বর্জন করে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ফেঁসে যাচ্ছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষকরা। এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা।
জানা গেছে, গত ২২ মে জেলা শহরের ল’ইয়ার্স কলোনির ভাড়া বাসা থেকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ শেখ হারুনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এর পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করছেন শেখ হারুনের সহধর্মিণী শিরিন আক্তার, বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকরা। শেখ হারুন বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন স্থানে শেখ হারুনের মুক্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিতে ভিজিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমান, নার্গিস আক্তার, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবদুল করিম মিয়াজি, অভিভাবক নুরুল ইসলাম, ইমতিয়াজ আহমেদ, রায়হান হোসেনসহ বিদ্যালয়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে শেখ হারুনের সহধর্মিণী শিরিন আক্তার বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নির্দোষ বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দেবনাথ মুঠোফোনে বলেন, আমি মানববন্ধন করতে নিষেধ করেছি। তবু শিরিন আক্তার জোরপূর্বক আমার বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন করিয়েছেন। তা ছাড়া আজ আমি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলাম। তবে শেখ হারুনের মুক্তির দাবিতে প্রচারিত পোস্টারে বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই এহতেশাম বলেন, হারুনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয়ে তদন্ত করে বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানসহ জড়িত অন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
0 facebook: