মুহম্মদ তাজুদুর রহমানঃ মৌলভীবাজারে পতিত জায়গা নিয়ে গ্রামবাসীর দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুইজন মারা গেছে। নিহতরা হলো- পূূর্ব লামুয়া গ্রামের ওয়ারিছ মিয়ার ছেলে আব্দুল মালিক (৫৫)একই গ্রামের মুরাদ মিয়ার ছেলে শফিকুর রহমান (২০)। এসময় উভয়পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮জনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব লামুয়া গ্রামের বড়হাওর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, পূর্ব লামুয়া (পংমদপুর) গ্রামের তোতা মিয়ার পক্ষ ও ফকির বাড়ির পক্ষের মধ্যে পতিত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গতকাল শনিবার সকালে এই দু'পক্ষের লেবাস মিয়া ও মনর মিয়ার মধ্যে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আব্দুল মালিক এর বুকে লাঠির আঘাতে এবং শফিকুর রহমান এর বুকে চাকুর আঘাতে ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যায়।
এসময় উভয়পক্ষের আউয়াল মিয়া (৩৪), রুমান মিয়া (২৭), রায়হান (২৫), সুফি মিয়া (৬০), মহরুপ রহমান (৩০), রাজীব আহমদ (৩৩), আহতাব হোসেন (১৭), রেজিয়া (২৮), জমসেদ মিয়া (৫৫), ফখরুল ইসলাম (৪৬), ইমন মিয়া (৩০), তাহের মিয়া (৩৩), জয়নাল মিয়া (৪০), মো. সুয়েব (২৪), রুনা বেগম (১৭), হুছনা বেগম (৪০), ইকরা মিয়া (৪০), সেলিম মিয়া (২৭), রুহেনা বেগম (২৮), হালিমা বেগম (২৩), মিনহাজ মিয়া (৩৩), মহসীন মিয়া (২৮), উমেদ মিয়া (২৩), সুহেল মিয়া (৩৫), লিয়াকত মিয়া (৩০), মিনারা (৬০), মধুমালা (৬৭)সহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ দুইজন মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ ৬জনকে আটক করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
মৌলভীবাজার
0 facebook: