আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের বিজেপিশাসিত আাসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) প্রণয়নের নামে বাঙালিদের হয়রানির প্রতিবাদে কলকাতার আসাম ভবনে বিক্ষোভ হয়েছে। ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’ নামের সংগঠনটি বাঙালিদের হয়রানি বন্ধে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে। খবর রেডিও তেহরানের।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বিজেপি সরকার নাগরিক পঞ্জির নামে আসামে বাঙালিদের, বিশেষ করে মুসলমানদের নাগরিকত্ব হরণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এর বিরুদ্ধে কলকাতার আসাম ভবনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর ভবনের পরিচালকের মাধ্যমে নাগরিক পঞ্জি প্রণয়নের সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলাকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে আসাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা গুয়াহাটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘যেসব বিধানসভা এলাকায় হিন্দু-মুসলিমের সংখ্যা প্রায় সমান, সেইসব কেন্দ্রে বেশি হারে মুসলমানদের নাম কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নাগরিক পঞ্জিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে শুধু ধর্মীয়সংখ্যালঘুদের নাম কাটা হচ্ছে বলে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে।
রিপুন বরা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চায়েত সচিবের দেয়া সার্টিফিকেটকে লিঙ্কেজ হিসেবে বৈধতা দিলেও স্থানীয় পর্যায়ে ভেরিফিকেশনের সময় নানা অজুহাতে ওই প্রমাণপত্র নাকচ করা হচ্ছে। এক বৃহৎসংখ্যক নির্দিষ্ট ধর্মের লোকের নাম কাটাই এর উদ্দেশ্য।
এ প্রসঙ্গে আসামের হাইলাকান্দির বিশিষ্ট সমাজকর্মী আব্দুল মান্নান লস্কর বলেন, সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চায়েতের নথির স্বীকৃতি দিলেও এনআরসি কর্মকর্তারা অনেক সময় তার বৈধতা মানছেন না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সংখ্যালঘুরা একটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও কিছু ক্ষেত্রে ভাষিক সংখ্যালঘুরা অনেকটা আশঙ্কার মধ্যে আছেন।
আসামে ব্যাপকহারে বিদেশিদের অনুপ্রবেশের তত্ত্বকে তিনি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে অভিহিত করে মুসলিমদের অপবাদ দেয়ার জন্য এরকম অপপ্রচার করা হয় বলে সমাজকর্মী আব্দুল মান্নান লস্কর অভিযোগ করেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: