![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ তফসিল ঘোষণার আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাত দফা দাবিতে বিএনপির দুদিনের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। দলটি নতুন কর্মসূচি দিতে ফের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুন কর্মসূচিতে জাতীয় ঐক্যের নেতাদের সঙ্গে রাখতেও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা। এ জন্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানায়, নতুন কর্মসূচি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে আবারও বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশসহ নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। এবার কর্মসূচি বিএনপি এককভাবে দেবে না জাতীয় ঐক্যেরে সঙ্গে একত্রে দেবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর মধ্য রাতে ব্যাঙ্কক যান। ব্যাঙ্ককে যাওয়ার আগে তিনি তা ঘনিষ্ঠজনদের বলে গেছেন, ৬ বা ৭ অক্টোবর ড. তিনি দেশে ফিরবেন। এরপর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি নেতারাও চাচ্ছে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মসূচি দেবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে সময় বেধে দেন ড. কামাল হোসেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বলা হয়েছিল, দাবি আদায়ে ১ অক্টোবর থেকে যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা সারা দেশে সভা-সমাবেশ করবেন। একই সঙ্গে সারা দেশে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’ নামে কমিটি গঠনের আহ্বানও জানানো হয়। কিন্তু এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এবং চিকিৎসা নিতে ব্যাঙ্কক যান।
বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের দিন ১০ অক্টোবর ধার্য আছে। আলোচিত এই মামলায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আসামি। বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা এই মামলায় নেতিবাচক রায়ের আশঙ্কা করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন কর্মসূচি দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে, যাতে সরকার ২১ আগস্ট মামলার রায়ের সঙ্গে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিকে গুলিয়ে ফেলতে না পারে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে আসার অভিমত আসে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। এ সময় তিনি কমনওয়েলথের মহাসচিবের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, শিগগিরই এই চিঠির জবাব দেবেন তিনি।
আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিএনপি উপযুক্ত কর্মসূচি দেবে। যে কর্মসূচির মাধ্যমে এই সরকারের পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। পরিস্থিতি বলে দেবে, কী ধরনের কর্মসূচি দিতে হবে। আগামী এক মাসের অনেক পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
0 facebook: