![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে যুক্তফ্রন্ট অবশ্যই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘যে দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে সেদিন থেকেই নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের অধীনে থাকেবে না। কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কথা, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এটা স্বীকার করেছেন।’ ৪ নভেম্বর, রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে সম্প্রসারিত যুক্তফ্রন্টের প্রথম বৈঠকে বি চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে জনগণের সাংববিধানিক অধিকার আমরা কায়েম করবই।’ বি চৌধুরী বলেন, ‘সংলাপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বেশিরভাগ দাবি-দাওয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন।’ সাবেক এই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার আমাদের দাবির সাথে প্রধানমন্ত্রী একমত পোষণ করেছেন।’
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির অধীনে, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কোনো দ্বিমত নেই জানিয়ে বি চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবির সাথে একমত হয়েছেন যে, নির্বাচনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীরা নির্বাচন কমিশনের অধীনেই ন্যাস্ত থাকবে। তফসিল ঘোষণার পর এমপিগণ সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন বা প্রতিশ্রুতি যাতে না দিতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রী ও এমপিদের সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে।’
নির্বাচনে সেনাবাহিনী দিতেই হবে এ কথা উল্লেখ করে বি চৌধুরী বলেন, ‘সংলাপের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সেনাবাহিনী উপজেলা পর্যায়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ ব্যাপারে অধ্যাদেশ হয়ে গেছে। তবুও তিনি রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলবেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী এবং আগামী সংসদে সাংসদ হিসেবে ছেলে মাহী বি. চৌধুরীকে দেখতে চান বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ২ নভেম্বর, শুক্রবার গণভবনে যুক্তফ্রন্ট-আওয়ামী লীগ সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে বদরুদ্দোজা চৌধুরী পরোক্ষভাবে এবং পরে যুক্তফ্রন্টের আরেক নেতা সরাসরি এমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের এই খবর সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা।’ পরে বি চৌধুরী সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। সম্প্রসারিত যুক্তফ্রন্টের এই বৈঠকে বিকল্প ধারার মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নান সূচনা বক্তব্য দেন।
এ সময় যুক্তফ্রন্টের শরীকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম, গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, মহাসচিব মুহম্মদ মঞ্জুর হোসেইন ঈসা, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ মো. আসাদুজ্জামান, মহাসচিব এম আশিকুজ্জামান, বাংলাদেশ জন দলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, মহাসচিব সেলিম আহমেদ। বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্টের চেয়ারম্যান দীলিপ কুমার দাস, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসিন ভূইয়া।
0 facebook: