গত এক মাসে চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ৬ হাজারের অধিক রোটা ভাইরাস আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার শিশু। এতে রোগীর উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসকরা বলছেন, শীত মৌসুম, অপরিছন্ন থাকা ও কাঁচা ফলমূলের সঙ্গে রোটা ভাইরাস বেশি ছড়ায়। তবে অভিভাবকরা আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পরিচর্যা করলে রোটা ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব। তবে অধিকাংশ অভিভাবক জানে না রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. এনামুল ইসলাম জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। এ রোগ এমনিতেই সেরে যায়। স্বল্পমেয়াদী এ রোগ হলে ৬-৭ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।
মতলব উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র সূত্র জানায়, গত এক মাসে এ কেন্দ্রে ৬ হাজার ৫৪ জন রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে এক বছরেরও কম বয়সের শিশু রয়েছে ৪ হাজার ৯০০ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, ডায়রিয়াজনিত রোগের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে রোটা ভাইরাস। এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারলে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইডিডিআর,বি)’র সর্বশেষ গবেষণা প্রতিবেদনে একই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এ রোগে প্রাণহানির বিষয়টি তুলে ধরেছে।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
স্বাস্থ্য
0 facebook: