ফাইল ছবি |
অতি দুঃখজনক হলেও, এবার সময় হলো দুই সম্রাজ্যবাদী আমেরিকার আর চীনের মধ্যে যুদ্ধ, আর তাদের প্রক্সিওয়ার জোন হলো বঙ্গপোসাগর, ভারত মহাসাগর, চীন সাগর ঘেষা দেশগুলো। ইতিমধ্যে এ যুদ্ধের অংশ হিসেবে এ অঞ্চলে চীন ঘোষণা করেছে তাদের বেল্ড রোড ইনেশিয়ায়েটিভ, মুক্তারমালা সহ বিভিন্ন পলিসি। আমেরিকা আর তার আঞ্চলিক সহযোগী ভারত গ্রহণ করেছে পিভট ট্যু এশিয়া, এক্ট ইস্ট পলিসিসহ আরো পলিসি। তাই চীন আর আমেরিকার দ্বন্দ্বে প্রতিনিয়ত প্রক্সিওয়ার জোন হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ও তাদের জনগণ, এটা নিশ্চিত।
তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, আমেরিকার এ অঞ্চলের প্রতিনিধি করছে ভারতের মাধ্যমে। আর ভারত ও চীনের ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে কেন্দ্রস্থল হচ্ছে বঙ্গপোসাগর। সেই বঙ্গোপসাগরের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলংকা, মালদ্বীপের মত দেশ ও তাদের জনগণের উপর ক্ষতির প্রভাবটা দেখা যাবে সর্বাধিক। তাই এ অঞ্চলে কোন ঘটনা ঘটলে তা আন্তর্জাতিক রাজনীতির দৃষ্টিতে সূক্ষভাবে বিচার করা জরুরী। এক্ষেত্রে অবশ্যই এ অঞ্চলের জনগণকে খুব সতর্ক হতে হবে, নয়ত তাদের সামান্য ভুলের কারণে সম্রাজ্যবাদীদের ফাঁদে পড়ে আফগানিস্তানের ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে এ অঞ্চলের জনগণকে।
আমি দেখছি, রোহিঙ্গা বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের কিছু জনগণ বেশি উত্তেজিত। এটা খুব খারাপ লক্ষণ। আপনার ক্ষণিকের ভুল সিদ্ধান্ত, এ অঞ্চলকে ঠেলে দিতে পারে মারাত্মক পরিণতির দিকে। তাই কোন ঘটনা ঘটলেই হুজুগে লাফ দিবেন না। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, আমেরিকা আর চীন যুদ্ধ লাগলে ওরা কখনই এ এলাকায় নিজেরা আসবে না, ওরা আমাকে আপনাকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করবে। তাই আমি আপনি যেন প্রক্সি হিসেবে কখন ব্যবহার না হই, এটা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।
আমি আগের পোস্টে বলেছি, এ অঞ্চলে মূল খেলোয়ার হলো - মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক ব্লক, মার্কিন রিপাবলিকান ব্লক ও চীন।
তবে মূল গেম মেকিং এ আছে - মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক ব্লক, মার্কিন রিপাবলিকান ব্লক।
অনেকে প্রশ্ন করেছে- “ভাই আমেরিকা ষড়যন্ত্র করছে বুঝলাম, কিন্তু তাদের আবার দুইটি ব্লকে ভাগ করার মানেটা কি ?”
আসলে এ বিষয়টি বুঝতে হলে আপনাকে একটু খুলে বলতে হবে। ঘটনা হলো-
আমেরিকার রাষ্ট্রীয় পলিসি হলো – এ অঞ্চলে চীনের আগত প্রভাব খর্ব করা ।
এই লক্ষ্যটা ঠিক আছে।
কিন্তু এই লক্ষ্যে পৌছাতে ডেমোক্র্যাটিক ব্লক একটা পলিসি নিয়েছে,
আবার রিপাবলিকান ব্লক আরেক ধরনের পলিসি নিয়েছে।
অর্থাৎ তাদের লক্ষ্য এক কিন্তু পলিসি ভিন্ন।
এবং পলিসি’র ভিন্নতার কারণে তাদের মধ্যে অনেক সময় দ্বন্দ্বও হয়।
বিষয়টি বুঝাতে উদহারন হিসেবে বলা যায়-
অনেক সময় দেখা যায়- আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়, অনেকটা সে রকম।
এই দ্বন্দ্বে নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি হতেও দেখা যায়।
দেখা যাচ্ছে, দুই দল আওয়ামীলীগের স্বার্থের পক্ষেই কাজটা করছে আবার শত্রু পক্ষকেও কাজটা দিতেছে না।
কিন্তু নিজেদের মধ্যে দুই পক্ষ কাজটা নেয়ার জন্য মারামারি করতেছে, বিষয়টি এরকম।
আমি কয়েক পোস্ট আগে আমেরিকার ডেমোক্র্যাটিক ব্লক আর রিপাবলিকান ব্লকের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলাম- আমেরিকান সম্রাজ্যবাদের হলো দুটি হাত। এক হাত দিয়ে প্লট তৈরী করে, অন্য হাত দিয়ে দমন করে ব্যালেন্স করে।
মূলত একহাতে ‘প্লট তৈরী’ আর অন্যহাতে ‘দমন’– আমেরিকার এই কাজটা এত সূক্ষ ও পারফেক্ট যে, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, বিভিন্ন রাষ্ট্রের ইন্টিলিজেন্স পর্যন্ত তাদের সাথে পেরে উঠে না।
হ্যা অনেকে হয়ত বলতে পারে-
“আমেরিকা নিজেই সন্ত্রাসবাদ তৈরী করে এবং আমেরিকাই দমন করে।”
কিন্তু কিভাবে কাজটা করে সেটার ম্যাকানিজমটা ধরতে পারে না।
আমার মনে হয়, শুধু ‘আমেরিকান সম্রাজ্যবাদ’ বাদ দিয়ে,
তাকে দুই ভাগ করে- ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকান দুই ব্লকে ভাগ করে দিতো, তাদের কার্যক্রমগুলো পৃথক আলোচনা করতো,
তবে তাদের ষড়যন্ত্রগুলো খুব সহজেই ধরা পড়তো।
আমি আগেও বলেছি- মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক ব্লকের লক্ষণ হলো-
তারা শরনার্থী/উদ্বাস্তুদের পক্ষে, মিডিয়া, দাতা সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা, এনজিও, সুশীল সমাজের নাম দিয়ে।
অপরদিকে রিপাবলিকান ব্লক কাজ করে- শরনার্থী/উব্দাস্তু বিরোধী, ব্যবসায়ী, সামরিক কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, জঙ্গীবাদ বিরোধী, ইসলাম ধর্ম বাদে অন্য ধর্মগুলোর জাতীয়তাবাদী/উগ্রবাদী দলগুলোর মধ্য দিয়ে।
উল্লেখ্য, শরনার্থী/উব্দাস্তু বিরোধী গরম গরম বক্তব্য দিয়ে রিপাবলিকান ব্লকের অনেক রাজনীতিবিদ আমেরিকাসহ অনেক দেশে নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কেন্দ্র করে রিপাবলিকানরা ব্লকের কোন একটি মহল ঐ পলিসিগুলো জনগণের মধ্যে পুশ করায় হঠাৎ করে বাংলাদেশীদের মধ্যে রোহিঙ্গা বিরোধী মনোভাব তৈরী হতে থাকে। অথচ মাত্র দুই বছর আগে, মানবতার কথা বলে বাংলাদেশীরা তাদের সাদরে গ্রহণ করেছিলো এবং প্রায় সবাই তাদের ত্রাণ সাহাযার্থ্যে এগিয়ে এসেছিলো।
আরো উল্লেখ্য, সাধারণত এসব ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট ব্লক বিভিন্ন এনজিও, সাহায্য সংস্থার নাম দিয়ে এসব শরনার্থীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে এবং তাদের দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার চেষ্টা চালায়। আবার ডেমোক্র্যাটাদের বানানো সন্ত্রাসী বা জঙ্গীবাদকে দমন করার নাম দিয়ে ‘এন্টি টেরোরিজম’ কার্যক্রম নিয়ে আসে রিপাবলিকান ব্লকরা।
কিন্তু আমার মনে হয়, বর্তমানে আমেরিকায় ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় না থাকায়, তাদের ব্লক সদস্যরা অপেক্ষাকৃত দুর্বল অবস্থায় আছে, এছাড়া হংকংসহ আরো অনেক এলাকায় ডেমোক্র্যাটদের বর্তমান মূল ফোকাস। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে কথিত জঙ্গীবাদ পুশ করার জন্য যতটুকু কাজ করার দরকার ছিলো ডেমোক্র্যাটরা ততটুকু করতে পারেনি বা সফল হয়নি, বা তাদের আরো সময় দরকার আছে। এ সুযোগ অন্যান্য সাধারণ ইসলামিক এনজিওগুলোও রোহিঙ্গাদের মধ্যে ঢুকে শিক্ষা দিয়েছে। এ অবস্থায় গত ২৫মে রোহিঙ্গারা যে সমাবেশ করেছে তার কিছু কিছু লক্ষণ মার্কিন সম্রাজ্যবাদের পলিসি’র সাথে দ্বন্দ্ব তৈরী করে। যেমন-
১) তারা ইসলাম ধর্মকে ফোকাস করে দোয়া মোনাজাত করে, যা রিপাবলিকানদের জন্য মারাত্মক চুলকানি কারণ।
২) বাংলাদেশীদের সাহায্যের জন্য ৩ বার কৃতজ্ঞতা জানায়।সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সভা করা। এ পলিসিগুলো অনেক বেশি স্ম্যার্ট হয়েছে। যা বিরোধীদের গা জ্বলার কারণ।
৩) অনেক দেশের মুসলমানরা এক হয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য এক সময় সমাবেশ করেছে, তাদের পক্ষে প্ল্যাকার্ড ধরেছে। কিন্তু আজকে যখন রোহিঙ্গারা এক হয়ে সমাবেশ করলো, তাদের একজন নেতা ঠিক করলো, তখনই একটি বিশেষ মহল ক্ষেপে গেলো এবং রোহিঙ্গা বিরোধী ব্যাপক প্রচার শুরু করলো। তারমানে রোহিঙ্গাদের একত্রিত হওয়া এবং একজন নেতা ঠিক করা তাদের কোন স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।
এখন যদি বাংলাদেশ যদি ঐ রোহিঙ্গা নেতাকে ডেমোক্র্যাটদের থেকে পৃথক করে (তাদের ষড়যন্ত্রগুলো বুঝিয়ে) নিজের আয়ত্ত্বে নিয়ে নেয়। এবং সেই নেতাকে দিয়ে রোহিঙ্গাদের পৃথক ভূমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে ক্যাম্পেইন করায়, তবে অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়। তাহলে রোহিঙ্গা নিয়ে ডেমোক্র্যাটাদের পলিসিও নষ্ট হয়ে যায়, রিপাবলিকানদের পলিসিও নষ্ট হয়ে যায়।
আপনাদের মনে থাকার কথা-
২ বছর আগে রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হওয়ার পর বিডিআরের সাবেক মহা পরিচালক আলম ফজলুর রহমান দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন-
একটির মধ্যে বলেছিলেন-
রোহিঙ্গারা হচ্ছে এ অঞ্চলের স্ট্র্যাইকার। যার হাতে এর ক্ষমতা থাকবে, সে অঞ্চলে গেম খেলতে পারবে।
আরেকটি স্ট্যাটাসে বলেছিলেন-
বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গাদের সহাযোগীতা দিয়ে আরাকানে ফেরত পাঠানো যেন তারা তাদের ভূমি ফিরে পেতে পারে বা স্বায়ত্বশাসন লাভ করতে পারে।
উল্লেখ্য সম্রাজ্যবাদীরা রোহিঙ্গাদের তাদের ভূমি থেকে বের করে আনছে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য। তাদের দিয়ে আরো খেলা বাকি আছে।
এ অবস্থায় তারা যদি একজন নেতা ঠিক করে এবং তার নেতৃত্বে একত্রিত হয় এবং (শর্ত সাপেক্ষে হলেও) নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার চিন্তা করে, তবে সেটা সম্রাজ্যবাদী গেম প্লেয়ারদের জন্য মারাত্মক থ্রেট। কারণ আমি আপনি যতই রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলি, রোহিঙ্গা নিজ মুখ দিয়ে যখন কথা বলবে সেটা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। অপরদিকে মায়ানমার বহুদিন যে কাজগুলো (একত্রিত হওয়া, নেতা ঠিক করা) তাদের করতে দেয়নি, সেটা যদি তারা করতে পারে, তবে অবশ্যই এটা রোহিঙ্গাদের জন্য বড় অর্জন। তবে এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বেশি দরকার আশ্রয়দাতা বাংলাদেশের সহযোগীতা ও সহমর্মিতা। সেটা হলেই সব কিছু সোজা হয়ে যাবে, আর সেটা না হলে দুর্বল গৃহহারা রোহিঙ্গারা কিছুই করতে পারবে না।
এতে দুইদিক থেকেই সুবিধা-
একদিকে রোহিঙ্গাদের সহযোগীতাহীন করে তাদের অবস্থান তৈরীর মাধ্যমে প্রকৃত দাবী উত্থাপন করতে দিবে না, তাদের আরো ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে, দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি করে এক সময় উল্টা বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবহার করতে চাইবে সম্রাজ্যবাদীরা। তাদের শত্রুতার কাটা বার্মার দিকে ঘুড়িয়ে বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আসতে চাইবে। কিন্তু আশ্রিতকে শত্রুতে পরিণত করা কখন বুদ্ধিমানের লক্ষণ না।
রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশীদের সহযোগীতা ও সহমর্মিতা পেতে না পারে, সে জন্য একটি মহল রোহিঙ্গা-বাংলাদেশীদের মধ্যে লাগিয়ে দেয়ার প্ল্যান করেছে। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের মধ্যে যেটা সবচেয়ে প্রচলিত কথা হলো- ‘রোহিঙ্গাদের স্বভাব চরিত্র ভালো না।’
উল্লেখ্য- আমি কাশ্মীরীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য ভারতীয় মুসলমানদের থেকে শুনেছিলাম কাশ্মীরীদের স্বভাব চরিত্র ভালো না।
আবার ফিলিস্তিনীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য আরবদের দৃষ্টিভঙ্গী হলো তাদের স্বভাব চরিত্র ভালো না।
আসলে এই স্বভাব চরিত্রের বিষয়টি রোহিঙ্গা, ফিলিস্তিনি বা কাশ্মীরীদের দোষ না। এটা হলো- দীর্ঘদিন ধরে প্রতিকূল পরিবেশ, শিক্ষার অভাব ও অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে সৃষ্টি।
স্বাভাবিকভাবে আপনি যদি চিন্তা করেন, একদম নিন্মবিত্ত শ্রেণীর একটি ছেলেকে যদি আপনি উচ্চবিত্ত কোন পরিবারের মধ্যে নিয়ে আসেন, তবে নিন্মবিত্ত ছেলেটির আচরণ কেমন মনে হবে ? তাহলে যারা যুগের পর যুগ যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত করছে, অশিক্ষা-দরিদ্রতার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে তাদের স্বভাব অবশ্যই স্বাভাবিক সমাজের সাথে মেলার কথা না।
কথা হলো- আমরা এখন স্বভাবগত সমস্যার কথা বলে যেভাবে রোহিঙ্গাদের পৃথক করে দিতে চাইছি, ঠিক একইভাবে স্বভাবগত সমস্যার কথা বলে- কাশ্মীরীদের আশেপাশের মুসলমানরা এবং ফিলিস্তিনিদের আশেপাশের মুসলমানরা তাদের পৃথক করে দিয়েছিলো।
আর আমি আপনি হাজার মাইল দূর থেকে যতই চিল্লাই “ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করো”, “কাশ্মীরকে স্বাধীন করো” কোন লাভ হবে না, কারণ ঐ মুসলিমগোষ্ঠীর কাছে সাহায্য পৌছাতে হবে আশেপাশের মুসলিম জাতির মাধ্যম দিয়েই।
কিন্তু সম্রাজ্যবাদীরা সেটাই করতে দেয় না, মানে চারপাশে যে জাতিগুলোর মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট জাতির মধ্যে সাহায্য পৌছাবে, সেটাকে অবরুদ্ধ বা আইসোলেট করে দেয় এবং এক্ষেত্র কাজে লাগায় দুই জাতির মধ্যে বিভেদ উস্কে দিয়ে। এবং এখন এই কাজটি করা হচ্ছে- রোহিঙ্গা-বাংলাদেশী জাতিভেদ উস্কানোর মাধ্যমে।
বলাবাহুল্য ইসলাম ধর্ম ব্যতিত অন্য ধর্মের অনেক জাতি কম জনসংখ্যা আর কম নির্যাতিত হয়েও পৃথক ভূমির দাবী আদায় করেছে। এক্ষেত্রে অন্য ধর্মের জাতিগুলো তাদের মধ্যে জাতিভেদ দ্বন্দ্ব ওভারকাম করে নির্দ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করেছিলো বলেই তারা পৃথক ভূমি লাভ করতে পেরেছে। কিন্তু মুসলমানরা সেটা পারে না, জাতিগত দ্বন্দ্ব নিয়ে পড়ে থাকার কারণে।
তাই আজকে যারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিভেদ ছড়াচ্ছে, আমি বলবো- দয়া করে আপনারা আজ থেকে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ আর ‘ফ্রি কাশ্মীর’ বলে শ্লোগান দিবেন না। কারণ আপনি যদি আজকে কাশ্মীরী বা প্যালেস্টাইনের আশেপাশে থাকতেন, তবে তাদের স্বভাব-চরিত্র দেখে অবশ্যই বলতেন ‘তুই মর’ ‘তুই মর’, ঠিক যেভাবে রোহিঙ্গাদের দেখে সে কথা কথা উচ্চারণ করছেন। (চলবে)
খবর বিভাগঃ
নয়ন চ্যাটার্জি
মতামত
রোহিঙ্গা
0 facebook: