![]() |
স্বদেশবার্তা
ডেস্কঃ কয়েক দিন আগেই তৈরি বীজতলায় চারাগুলো বেড়ে উঠছিলো। এরমধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ
ধরে শীতের পাশাপাশি দিনভর ঝড়ছে কুয়াশা। এতে বীজতলায় বেড়ে ওঠা চারাগুলো সবুজ থেকে লালচে আবরণ ধারণা
করেছে। যা পরবর্তীতে শুকিয়ে মারা যাবে।
তবে
এগুলোর হাত থেকে বীজতলা রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। কারণ বীজতলা রক্ষা
করতে না পারলে আগামী বোরো চাষ হুমকির মুখে পড়বে। তাতে তাদের কপাল পুড়বে। আর বোরো চাষ নিশ্চিত
করতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-মাঠকর্মীরা।
দিনাজপুর
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এরইমধ্যে কৃষকরা বোরো
চাষের বীজতলা তৈরি করেছেন। বীজতলায় চারা বাড়তে শুরু করেছে। আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি
থেকে এ চারা রোপণ করা হবে ফসলি জমিতে।
এবার
জেলার ১৩ উপজেলার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক
টন। উৎপাদন ভালো হলে তা ৭ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অধিদপ্তর
সূত্রে আরো জানা যায়, এবার প্রতি হেক্টর জমিতে ৪ দশমিক ৭৫ থেকে ৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। বোরো চাষে জেলার সব চাষাবাদ জমিতে সেচ কাজে ২ হাজার ৮৫৭টি বিদ্যুৎচালিত
গভীর নলকূপ, ১৩ হাজার ৪৬৬টি অগভীর নলকূপ, ৬২ হাজার ৬৬৯টি ডিজেল
চালিত নলকূপ ও ৩৮৬টি ললিত পাম্প ব্যবহার করা হবে।
দিনাজপুর
সদর উপজেলার ৯ নং আস্করপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের বর্গা চাষি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন
জানান, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলার চারাগুলো হলুদ হয়ে যাচ্ছে। চারা রক্ষায় কৃষি বিভাগের
পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে প্রতিকার
পাওয়া যাচ্ছেনা। উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচও হচ্ছে। চারা রক্ষা করতে না
পারলে এবার বোরো চাষ অনিশ্চিত।
দিনাজপুর
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, শীত ও কুয়াশার হাত থেকে বীজতলার চারা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা
ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা।
বীজতলায়
চারা রক্ষায় ব্যস্ত কৃষক
চাষ
ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি বিভাগ কৃষকের ঘরে ফসল ওঠা পর্যন্ত সহযোগিতা করবে।
খবর বিভাগঃ
ব্যবসা ও বাণিজ্য
সারাদেশ
0 facebook: