২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ব্রিটেনের। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পরপর ৮টি বিকল্প ব্রেক্সিট প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হলেও এর কোনোটিতেই জয়ের মুখ দেখেননি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এছাড়া এই ইস্যুতে নিয়ন্ত্রণ এখন পার্লামেন্ট সদস্যদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, থেরেসা মে শেষ পর্যন্ত তার নেতৃত্ব ধরে রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়েই দেখা দিয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব।
যুক্তরাজ্য জেকেআর সলিসিটরস লিগ্যাল কনসালটেন্ট ব্যারিস্টার শাহেন শাহ বলেন, আমরা হয়তো নতুন নেতৃত্ব দেখতে পাবো। থেরেসা মে হয়তো এই কর্মকাণ্ড নাও শেষ করতে পারে।
গণভোটের রায়কে সম্মান জানিয়ে ব্রেক্সিট অবশ্যই কার্যকর হওয়া উচিত বলে মনে করেন কিংস্টোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ব্যারিস্টার এম এ আশরাফ।
তিনি বলেন, বেক্সিট যদি সত্যিকার অর্থে কার্যকর না হয় তাহলে ব্রিটেনের হাজার বছরের গণতন্ত্রের সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে।
এ-অবস্থায় ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সময়সীমা ফের বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় কনজারভেটিভ দলীয় কনজারভেটিভ দলীয় নেতা মো. আনিসুর রহমান।
তিনি বলেন, বেক্সিটের শেষ পরিণতি হতে সময় বেশি লাগবে। এটা দুই বছরও লাগতে পারে।পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েও থেরেসা মে চুক্তি অনুমোদন করাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। বার বার বড় ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পর চুক্তি অনুমোদন করাতে তাকে এখনো অনেকে বাধা অতিক্রম করতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
রাজনীতি
0 facebook: