ফাইল ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ খালেদার মুক্তির দাবিতে অনশন করে কিছু হবে না মন্তব্য করে বিএনপির উদ্দেশ্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমি জানি, এ গণঅনশনে কী হবে। যদি পারেন এক হয়ে রাস্তায় নামেন। রাস্তায় নামলে দু-চারটা মামলা হবে। তাতে কী যায় আসে। দেশটাই তো একটি কারাগারে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি রাস্তায় নামতে পারেন তাহলে শেখ হাসিনা এক সময় বলবে ছেড়ে দে মা, আমি গেলাম, আমাকে মাফ করো।’
রবিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির উদ্যোগে “গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে” আয়োজিত গণঅনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনারা হলের ভেতর গণঅনশন, আমরণ অনশন করে শেখ হাসিনাকে নাড়াতে পারবেন না। শেখ হাসিনাকে নাড়াতে হলে শেখ হাসিনা যা করেছে তা-ই করতে হবে। হাসিনা ভোটের কথা বলেছেন ৩০ তারিখে আর ২৯ তারিখে সব ভোট চুরি করেছেন। আর চোরকে সোজা করতে হলে আর একটু শক্ত হতে হবে।’
বিএনপি আন্দোলন না করলেও বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকারের কাছে কোনও দাবি আপনারা (বিএনপি) করতে পারেন না। যদি এই অবৈধ সরকারের কাছে আপনারা কোনও দাবি করেন তাহলে আপনাদের পতন হবে। এই দাবির মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার অবৈধ, সংসদ অবৈধ, এটা আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে।’
এসময় তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেছেন নির্বাচনের পরের দিন কেন হরতাল ডাকা হলো না। রাস্তা অবরোধ করা হলো না। আমি মনে করি আপনারা রাস্তা অবরোধ না করে ভালোই করেছেন। এখন ধীরে ধীরে অবরোধ শুরু করেন।’
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একটি গণভোটে যদি আসেন তাহলে ৫ পার্সেন্ট ভোটও পাবেন না।’
বর্তমানে দেশের যে অবস্থা এরকম অবস্থা হবে জানলে কাদের সিদ্দিকী-রব আপনারা কি মুক্তিযুদ্ধ করতেন? বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু’র এমন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবীর বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি এর ১০০ ভাগের এক ভাগ হবে- এটা জানলেও আমি মুক্তিযুদ্ধ করতাম না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন প্যারোলে লাহোরে যাননি তেমনি বেগম জিয়াও আজ প্যারোলে মুক্তি না নিলে সেটা হবে দ্বিতীয় নজিরবিহীন। প্যারোলে মুক্তি মানে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু, গণতন্ত্রের মৃত্যু।’
‘আজ গণতন্ত্র আর খালেদা জিয়া এক কথা’- এমন মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যে আদালতে যে বিচারক বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি দিয়েছেন সেই বিচারকের জনগণের আদালতে শাস্তি হবে।’
অনশনে আরও উপস্থিত আছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, গোলাম আকবর খন্দকার, যুগ্ম-মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন- আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন- খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডিএল’র মহাসচিব সাইফুদ্দিন মুনির, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল প্রমুখ।
0 facebook: