স্টাফ রিপোর্টার।। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মূলপাইন দারুস সুন্নাহ নূরানী হাফেজী মাদ্রাসার ১৮ শিক্ষার্থীকে বহনকারী একটি ভ্যান উল্টে খালে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও ১০ শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার উজিরপুর-ধামুরা সড়কের সমীর হালদারের বাড়ির সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্যানে থাকা ৭ শিশু সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের সাকরাল ও মুলপাইন গ্রাম থেকে একটি স্কুলভ্যানে ১৮ শিশুকে নিয়ে ভ্যানচালক মুলপাইন গ্রামের মহিউদ্দিন সিকদার মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা হন। ভ্যানটি সমীর হালদারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আশা একটি রিকাশকে পাশ কাটাতে গিয়ে খালের পানিতে পড়ে যায়। ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত খালে লাফিয়ে পড়ে স্কুলভ্যানসহ শিশুদের উদ্ধার করে পাড়ে তুলে আনে। কিন্তু তার আগেই লামিয়া (৬) ও আব্দুল্লাহ (৭) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
নিহত লামিয়া মুলপাইন গ্রামে নানা বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করত। তার বাবার নাম জয়নাল আবেদীন, বাড়ি ময়মনসিংহ। আব্দুল্লাহর বাড়ি উপজেলার সাকরাল গ্রামে। সে ওই গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আতিক (৬), বিল্লাল (৬), নিয়াজ মাহমুদ (৬), মুক্তাকে (৭) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং হোসাইন (৬), তাসফিয়া (৬), রহমতউল্লাহ(৬), তামিম (৬), আব্দুর রহমান (৭), আব্দুল্লাহ আল মাহিন (৬) ও ভ্যান চালক মহিউদ্দিনকে (৩২) উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভ্যানে ৮ শিশুর ধারন ক্ষমতা থাকলেও ১৮ জনকে বহন করা হচ্ছিল। এ কারণে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমানকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, নিহত শিশুদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আ. লতিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ও আহতদের খোঁজ খবর নেন। তিনি জানান, নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান ও আহতদের পরিবারকে সহযোগীতা প্রদান করা হবে।
খবর বিভাগঃ
জেলা সংবাদ
দুর্ঘটনা
বরিশাল বিভাগ
0 facebook: