প্রতিকি ছবি |
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বিশ্বা পূর্বপাড়া গ্রামের মসলা ব্যবসায়ী স্বপন কুমার তালুকদারের মেয়ে বিশ্বা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী গত ১৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসে। ওইদিন বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে একই গ্রামের তার বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পথে নিজের চাচাত ভাই দীজেন্দ্রনাথ তালুকদারের ছেলে দীপক কুমার তালুকদার কৌশলে ওই ছাত্রীকে (চাচাতো বোন) ডেকে তার ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সহযোগী গিরেন্দ্রনাথ তালুকদারের ছেলে পিযুষ তালুকদার ও অমল চন্দ্র সরকারের ছেলে সবুজ কুমার সরকার ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে।
এ ঘটনার কথা তার বাবা-মা সহ আত্মীয়স্বজনকে না বলার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে গিয়ে শুধু কান্নাকাটি করতে থাকে। কান্নাকাটি দেখে জ্বীন ধরেছে বা গ্রাম্য ভাষায় উপড়া রোগ হয়েছে মনে করে তার পরিবার গত কয়েকদিন যাবত তাকে কবিরাজ দেখার পাশাপাশি মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় ওই কিশোরী তার মা ববিতা রানীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ১১ দিন পর ধর্ষিতার পিতা স্বপন কুমার বাদি হয়ে ৩ ধর্ষকের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার রাতে শেরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষনের সাথে জড়িত দীপক কুমার তালুকদার ও পিযুষ তালুকদারকে গ্রেফতার করেন।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী-২০০৩)এর ৯(৩)৩০ দন্ডবিধিতে মামলা রুজ্জু করা হয়েছে এবং অপর আসামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
ধর্ষণ
0 facebook: