স্টাফ রিপোর্টার।। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাবরি সীমান্তে এক বাংলাদেশি মুসলিমকে হিন্দুত্ববাদি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী হানাদার বাহিনী (বিএসএফ) পিটিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার পর বিএসএফ তার লাশ জিরো লাইনে ফেলে রেখেছে বলে দাবি গ্রামবাসীর।
নিহত কামাল হোসেন (৩২) হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে।
কামালের বোনজামাই এমদাদুল হক লিটন যুগান্তরকে জানান, শুক্রবার সকালে নাগর নদীর ওপারে বাংলাদেশের ডাবরি (৩৬৯/৩-৪) সীমান্ত এলাকায় তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। সেখান থেকে লাশ আনা হয় কামালের বাড়িতে।
পরিবারের অভিযোগ, ডাবরির বিপরীতে ভারতের ইসলামপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার ফুলবাড়ি বিএসএফ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে জিরো লাইনে ফেলে দেয় লাশ। বিজিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তের ৩৭০ মেইন পিলার এলাকার ওপারে নিহত কামাল ভারতে অনুপ্রবেশ করলে দেশটির নারগাঁও বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে।
এ সময় তাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদি বিএসএফ। সেখান থেকে আর বাড়ি আসতে পারেন নি তিনি বরং মারা যান।
গেদুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদও নিহত কামালের পরিবারের অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষন করেন। তিনি বলেন, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবকের মাথা ও ডান হাতের কুনইসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত এবং জখমের চিহ্ন রয়েছে।
হরিপুর থানার ওসি মুহম্মদ আমিরুজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- নিহত যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে বিএসএফ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত কিনা তা জানা যায়নি।
ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম সামিউন্নবী চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তে ঘটেছে। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়টি নিশ্চিত না। ওই যুবকের লাশ তার বাড়িতে পাওয়া গেছে। ঘটনার জানার পর বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতের ১৪৬ ফুলবাড়ি ব্যাটালিয়নের বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিজিবির এ কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ বিষয়ে দুদেশের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে। তবে এ বৈঠকে কামাল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা বা এ জাতীয় ঘটনার কথা অস্বীকার করে বিএসএফ।
0 facebook: