23 March 2018

এখনও যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র রফতানির তালিকায় শীর্ষে


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অতীতের ধারাবাহিকতায় বিগত ৫ বছরেও অস্ত্র রফতানিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রপাশাপাশি অতীতের থেকে রফতানির পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা২০১৩-২০১৭ মেয়াদে বিশ্বব্যাপী মোট রফতানিকৃত অস্ত্রের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি যুক্তরাষ্ট্রেরআর পূর্ববর্তী মেয়াদের তুলনায় তাদের অস্ত্র রফতানি বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫ শতাংশঅস্ত্র বিক্রির পরিসংখ্যানে দেখা গেছেবিগত ওবামা প্রশাসনের ধারাবাহিকতায় অস্ত্র রফতানিকে আরও গতিশীল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পপরিবর্তন এসেছেন বেচাবিক্রির ধরনেওভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন রফতানিতে এই শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে আভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা

সংঘাত ও সশস্ত্রীকরণসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এসআইপিআরই) এর সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বে রফতানিকৃত অস্ত্রের ৩৪ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রেরওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র প্রস্তুতকারক করপোরেশনগুলোও বিপুল অর্থ আয় করছেপিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর তালিকায় ২০১৬ সালে শীর্ষ অস্ত্র বিক্রেতা কোম্পানির স্থানটি অর্জন করেছে স্টকস ফর লকহিড মার্টিন২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েছেপিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্টকস ফর বোয়িং কোম্পানিটি২০১৩ সাল থেকে এ কোম্পানিরও অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। 

বিশ্বব্যাপী মার্কিন নিরাপত্তা সহযোগিতা বিশ্লেষণে নিয়োজিত সংগঠন সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স মনিটরশীর্ষক কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম বছরে ৫৭০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি হয়েছেএ হার ২০১৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ক্ষমতার শেষ বছরে যে পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছেন তার চেয়েও বেশিদুই প্রশাসনের মেয়াদেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রফতানিকারক দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

দ্য সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স মনিটরের প্রতিবেদনে ওবামা ও ট্রাম্পের শাসনামলে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আরেকটি পার্থক্য দেখা গেছেতারা বিদেশি সরকারের কাছে যে ধরনের সরঞ্জাম বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা আলাদাওবামার শাসনামলে সামরিক বিমান বিক্রিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিলআর ট্রাম্পের শাসনের প্রথম বছরে ক্ষেপণাস্ত্র আর বোমা বিক্রি প্রাধান্য পেয়েছে


আর্মস অ্যান্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার প্রোগ্রামের পরিচালক ড. অডে ফ্লিউর‍্যান্ট  বলেছেন, ‘ওবামার আগে যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলো থেকে দেখা যায়, ১৯৯০ সালের পর ২০১৩-২০১৭ মেয়াদেই যুক্তরাষ্ট্রর অস্ত্র রফতানি ছিল সবচেয়ে বেশিএইসব চুক্তি এবং ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া আরও কিছু বড় অস্ত্র চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্র সামনের বছরগুলোতেও অস্ত্র রফতানিকারক হিসেবে এগিয়ে থাকবেএরইমধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তি চূড়ান্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রহোয়াইট হাউসে চুক্তির ঘোষণা অনুষ্ঠানে সৌদি যুবরাজকে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘অস্ত্র ব্যবসায় সৌদি আরবের অনেক মানুষ কাজ করে


শেয়ার করুন

0 facebook: