ছবিঃ এনটিভি |
গত সোমবার বিধানসভায় রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এম মনিকন্দন টিক টক নিষিদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
মনিথানেয়া জননয়াগা কাটচি (এমজেকে) দলের থামিমুন আনসারির বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী ওই কথা বলেন।
আনসারির অভিযোগ, টিক টক অ্যাপ তরুণ প্রজন্মকে বুঁদ করে রেখেছে, যা সংস্কৃতি ধ্বংসের পথ তৈরি করছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যৌনতাজড়ানো কনটেন্ট (আধেয়) ও সাধারণ মানুষের চেহারা বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে নারীদের—এমন মত প্রকাশ করে বিষয়টির ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আনসারি।
এর পরই মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকার এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
তরুণদের মধ্যে চীনা মোবাইল অ্যাপ টিক টক ব্যাপক জনপ্রিয়, আর তা ক্রমেই স্কুল ও কলেজপড়ুয়া মেয়েরা, এমনকী গৃহিণীদের জন্যও ভয়াবহ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীর ছবি বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে অনেক।
রাজ্যের সলিম শহরের স্কুলগুলোতে ও অভিভাবকদের পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের সন্তানেরা যেন এই অ্যাপটি লগ ইন না করে সে ব্যাপারে নজরদারি রাখতে। অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, স্কুলের ছেলেমেয়েদের ছবি বিকৃত করে তার সঙ্গে যৌনতার আধেয় যোগ করে অন্তর্জালে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগের পরই মূলত পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পুলিশ এ-ও পরামর্শ দিয়েছে, ঘরে ও স্কুলে শিক্ষার্থীদের যেন এসব বিষয়ে কাউন্সেলিং করা হয়।
গেল সপ্তাহে সলিম সরকারি আর্টস কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীকে ভিডিও বিকৃতির দায়ে বহিষ্কারও করা হয়।
যদিও ১২ বছরের নিচের বয়সীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আছে, তবু শিশুরা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অ্যাপে শেয়ার করা বেশিরভাগ ভিডিওই নাচ বা গানের সঙ্গে মেলানো শারীরিক অঙ্গভঙ্গি। সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
তথ্য ও প্রযুক্তি
0 facebook: