![]() |
সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও বৈষম্য অব্যাহত
আছে : রানা দাশগুপ্ত - সংগৃহীত
|
স্টাফ রিপোর্টার॥ বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, ইসলাম বিদ্বেষী, চরম উগ্রপন্থী হিন্দু অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছে, প্রিয়া সাহা সংগঠনের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক এটি সত্যি। তবে সাংগঠনিক কোন সিদ্ধান্ত বা দায়িত্ব নিয়ে সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাননি বা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেনি। যা করেছে নিজের দায়িত্ব নিয়ে করেছে। এর সাথে সংগঠনের কোন সম্পর্ক নেই। আর এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এহেন সাংগঠনিক পরিচিতি নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির পরিপ্রেক্ষিতে এটিকে ‘সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ড’ বিবেচনায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গত ২৩ জুলাইয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির জরুরী সভায় প্রিয়া সাহাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করে সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
রাণা দাশগুপ্ত বলেছে, সে ঢাকায় ফিরে এলে তার বক্তব্য শুনে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অবস্থান থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও বৈষম্য অব্যাহত আছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের সাথে প্রিয়া সাহার সাক্ষাৎ ও সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়ে ছিলো।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) হলে সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয় এই ইসলাম বিরোধি ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিল ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর, নির্মল রোজারিও, মঞ্জু ধর, ভদন্ত সুনন্দপ্রিয় মহাথেরো, নির্মল চ্যাটার্জী, মনীন্দ্র কুমার নাথ এবং অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল।
রানা দাশগুপ্ত বলে, ব্যক্তির বক্তব্যকে পুঁজি করে সম্প্রদায় বিশেষকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর যে ঘৃণ্য অভিসন্ধি আমরা লক্ষ করেছি তা দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গত ২১ জুলাই ২০১৯ তারিখে লন্ডন থেকে প্রিয়া সাহার কাছ থেকে ব্যাখ্যা জানার আগে তার বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা না নেয়ার পাশাপাশি তার পরিবারের জীবন ও সম্পদ রক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা গোটা জাতিকে আশ্বস্ত করেছেন।
সে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে আন্তরিক স্বাগত জানায়। সে আরো বলে, এটিও অস্বীকারের উপায় নেই, বিগত দশ বছরে অন্ততঃ এ সরকারের আমলে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় বেশ খানিকটা অগ্রগতি ঘটেছে। তবে শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইন বাতিল হয়ে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছায় প্রণীত হলেও তার বাস্তবায়ন আজো থমকে আছে। রাষ্ট্রীয় মৌলনীতি হিসেবে সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ফিরে এসেছে ঠিক, তবে সাম্প্রদায়িক আবরণ ও আভরণ থেকে তা আজো মুক্ত হতে পারে নি। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি আছে, তবে আরো অনেক কিছু করার বাকী আছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত অংগীকার পূরণের পাশাপাশি অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সমস্যাবলী নিরূপণে ও তা থেকে উত্তরণে সুপারিশ প্রণয়নের জন্যে সংসদীয় কমিশন গঠনের দাবী জানায়।
খবর বিভাগঃ
ধর্মীয় বিদ্বেষ
হিন্দু সমাচার
0 facebook: