11 August 2019

ভারতে ধর্ম পরিবর্তনের হিড়িক, তাই হিন্দুধর্ম টিকাতে ধর্ম পরিবর্তন নিষিদ্ধে নতুন আইন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ভারতে হিন্দু কমে যাচ্ছে, দলে দলে মানুষ সম্মানিত পবিত্র ধর্ম ইসলামের চায়াতলে চলে যাচ্ছে এরূপ দাবি করে এবার ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ করতে নতুন আইন করতে যাচ্ছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি সরকার।

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মোদি-অমিত বাহিনী। রাজ্যসভায় পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকা সত্ত্বেও বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে অনায়াসে তিন তালাক বিল আর কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও রাজ্য পুনর্গঠন বিল দুটি পাশ করিয়ে সাফল্য পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাবোধ করছেনা বিজেপি।

মূলত হিন্দুদের ধর্মান্তর রোখা ও কথিত লাভ জেহাদ’-এর মতো ঘটনা আটকাতেই ওই বিল আনতে চাওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

মোদি সরকারের শীর্ষ সূত্র শনিবার বলেছে, এখনো জোর করে, প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরণ ঘটে চলেছে। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় যার সংখ্যা খুব বেশি। বিজেপির নেতাদের একাংশের দাবি, ভালোবাসার নামেও পরিকল্পিত ভাবে হিন্দু মেয়েদের ধর্ম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

যদিও বিরোধীদের দাবি, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ধর্মে বিয়ে করবেন বা কোনো ধর্ম গ্রহণ করবেন, সেটা তার মৌলিক অধিকার। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘বিলটি না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বোঝাই যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি ভোটব্যাঙ্ককে বার্তা দেয়াই লক্ষ্য।’’

বিজেপির দাবি, স্বাধীনতার সময়ে দেশে ৯০% হিন্দু ছিল। এখন তা ৭২-৭৩%। যদিও জনগণনার নথি বলছে ১৯৫১ সালে এ দেশে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৪%। ২০১১ সালে তা কমে হয়েছে ৭৯.৮০%। পরিবার পরিকল্পনাই যার মূল কারণ বলে মনে করে বিরোধীরা।

মোদি সরকারের প্রথম পর্বে ঘর ওয়াপসিপ্রকল্প হাতে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। যখন কোনো হিন্দু অন্য ধর্ম গ্রহণ করছেন, তাকে বলা হচ্ছে ধর্মান্তরণ। কিন্তু সঙ্ঘ পরিবার যখন কাউকে হিন্দুধর্মের ছাতায় নিয়ে আসছে, তখন তা ঘর ওয়াপসি!

এ বার ধর্মান্তরণ পাকাপাকি রুখতেই বিল আনার কথা ভাবনা। অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির কর্তা স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী বলে, ‘‘আমরা চাই সরকার দ্রুত আইন করুক। হিন্দু সমাজের স্বার্থেই তা প্রয়োজন।’’


শেয়ার করুন

0 facebook: