ভারতীয় ও চিনা বর্ডার গার্ড |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। চীনের সাথে ভারতের সীমান্ত দুই হাজার পাঁচশ’ পয়তাল্লিশ মাইলেরও বেশি। কিলোমিটারের হিসাবে যা চার হাজার ছিয়ানব্বই কি.মি.। দীর্ঘ এই সীমান্ত জুড়ে দুই দেশের সেনারা একাধিকবার বিরোধে জড়িয়েছে। দুই দেশের মধ্যেই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে বারংবার। এমনকি ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে।
তবে অবাক করা ব্যাপার হলো, গত প্রায় অর্ধ শতক ধরে চীন-ভারত সীমান্তে একটি গুলি ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটেনি। বিভিন্ন সময়ে নানা ইস্যু নিয়ে বিরোধ হলেও কোনো পক্ষই বন্দুকের নল তাক করেনি একে অপরের দিকে।
উল্টোদিকে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের নির্দিষ্ট চার হাজার ছিয়ানব্বই কিলোমিটার সীমান্ত পৃথিবীর মধ্যে বিপজ্জনক সীমানগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে পরিচিত। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিতর্কিত শ্যূট-অন-সাইট (দেখামাত্র গুলি) নীতি একমাত্র বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তেই বহাল রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অধিকারসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার হিসাবমতে, ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ১,৫০০ এরও বেশি সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানেও দোকালাম অঞ্চলে সড়ক নির্মাণকে কেন্দ্র করে গত দুমাস ধরে হিমালয় অঞ্চলে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ভারত ও চীন। বেইজিং যে এলাকায় সড়ক নির্মাণের চেষ্টা করছে সেটি ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ ভুটানের এলাকা বলে নয়াদিল্লি দাবি করেছে। এরই মধ্যে চীনের ভূখণ্ডে ভারতের সেনারা অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে বেইজিং। অথচ এই যুদ্ধংদেহি পরিস্থিতির মাঝেও দুই দেশের মাঝে একটি গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেনি।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
চিন
ভারত
0 facebook: