![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অবৈধ দখলদার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর বুধবার প্রথমবারের মতো কাশ্মীর উপত্যকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
কাশ্মীরে অবৈধ ভারতীয় হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ওই বন্দুকযুদ্ধে বুধবার এক স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরী নিহত (শহীদ) হওয়ার দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। পুলিশ আরও জানায়, উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুই সদস্যও আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়।
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদ দুটি বাতিল করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ভারতের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের কাশ্মীরে সম্পত্তি ক্রয় করার ওপর বিধিনিষেধ উঠে যায়।
পাশাপাশি অন্য রাজ্যে বসবাসরত ভারতীয়দের কাশ্মীরে সরকারি চাকরি পাওয়া কিংবা কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে বসবাসের বিধিনিষেধও বাতিল হয়ে যায়। উগ্র হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দলোন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেয় মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীরা।
এদিকে কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ দাবি করা পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাশ্মীরে সম্ভাব্য নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলে এ মাসের শুরু থেকেই প্রচুর বাড়তি আধাসামরিক সেনা মোতায়েন রেখেছে মোদি সরকার।
কাশ্মীরে কারফিউ জারির পর থেকে কমপক্ষে চার হাজার কাশ্মীরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত সোমবার রাতভর শ্রীনগরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আকস্মিকভাবে গত ৫ আগস্ট মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে পুরোপুরি ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেয়।
এ নিয়ে যাতে কোনো আন্দোলন না হয়, এ কারণে ভারত সরকার ৪ আগস্ট থেকেই হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে পুরো কাশ্মীর উপত্যকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে রেখেছে। দুই সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন কাশ্মীরবাসী।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
কাশ্মীর
ভারত
0 facebook: