আন্তর্জাতিক
ডেস্কঃ প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করে নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন সুলতান এরদোয়ান। তবে
এবার সময় একটু অন্যরকম ছিলো। ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ কিছু নতুন
ক্ষমতা বলবৎ হবে। এ নির্বাচনে এরদোগানের জেতার সম্ভাবনা থাকার পরেও ভয়ের ও কারন ছিলো
যথেষ্ট কিন্তু সকল বাধা বিপত্তি কে ডিঙ্গিয়ে পূনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় যে
সকল ক্ষমতা পাচ্ছেন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম নেতা সুলতান এরদোগানঃ-
১. মন্ত্রী
ও ভাইস প্রেসিডেন্টসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা।
২. দেশের
আইনি ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা।
৩. জরুরি
অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করতে পারবেন তিনি।
নির্বাচনে
ছয়জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। কেউ যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পান, তিনিই
প্রেসিডেন্ট হবেন এরকম ই ছিলো তুরস্কের নির্বাচনী আইন। তবে কেউই যদি ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত
করতে না পারেন, তবে
৮ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু শেষ
পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে পূনরায় প্রেসিডেন্ট পদে বহাল রইলেন সুলতান এরদোয়ান।
এবারের
তুরস্কের নির্বাচন মূলত দুটি জোটে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলো। একটি পিপলস অ্যালায়েন্স। এখানে
ছিলো এরদোগানের একে পার্টি,
ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি ও গ্রেট ইউনিটি পার্টি। অপরটি ন্যাশনাল
অ্যালায়েন্স।
এছাড়াও
চারটি দল ছিলো- শক্তিশালী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি, ফ্যালিসিটি পার্টি, আই পার্টি
ও ডেমোক্রেটিক পার্টি। এই নির্বাচনের একটি বড় সুবিধা ছিলো, এরদোগান
পিপলস অ্যালায়েন্সের একক প্রার্থী।
অন্যরা
নিজ নিজ পার্টি থেকে দাঁড়িয়েছেন। রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রার্থী মুহাররেম ইনযে
এরদোয়ানের জন্য হুমকি ছিলেন।
শেষ মুহূর্তে
এরদোগানের পক্ষে-বিপক্ষে ৫৫-৪৫ শতাংশ। গত নির্বাচনেও তিনি সামান্য ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন।
তাই সঙ্গত কারণেই এই নির্বাচন ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই নিরবাচনের
মাধ্যমে বোঝা যাবে, এরদোগান
ও তার আন্তর্জাতিক পলিসি থাকবে,
না নুতনভাবে অন্য কিছু হবে। অনেক জেনারেল, পুলিশ
অফিসার, সিভিল
সার্ভিসের লোকজন ও সাধারণ সরকারি কর্মচারী নির্বাচনের আগেই দেশ ছেড়েছেন।
কার শক্তি
কতটুকু তাও পরিস্ফুট হবে এই নির্বাচনে, মানুষ ইসলাম না সেকুলারিজম চায় তাও নির্ধারিত
হলো এবার।
দেশের
মানুষ কি সত্যিই পরিবর্তন চেয়েছিলো নাকি আরো বেশী ইসলামিজম চেয়েছে, তা এই
ভোটে প্রমানিত হলো। এরদোগান ও তার দল আবার নির্বাচিত হওয়ায় তুরস্কে এবার নতুন সিস্টেম
পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে। দেশে ইসলামিকায়ন অভিযান আরো বেশী জোরদার হবে।
এরদোগান
চান, তার
রাজনৈতিক কর্মসূচি সঠিক কিনা,
তা জনগণ চূড়ান্তভাবে নিরূপণ করুক তাই এই আগাম নির্বাচন। অবশ্য জনগণ
এপ্রিল ২০১৭ সালে রেফারেন্ডামের মাধ্যমে তার প্রতি সমর্থন দিয়েছিলেন।
এরদোগান
ভিশন ২০২৩-এর রূপরেখা দিয়েছেন। তিনি বিশ্বের সেরা ১০টি আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ দেশের মধ্যে
স্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই প্রস্তাবে যোগাযোগ, কৃষি, জ্বালানি ও স্বাস্থ্য খাতে ইতিমধ্যে প্রচুর
উন্নয়ন হয়েছে।
আর মাত্র
পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিশ্র“ত
উন্নয়ন কর্মসূচি শেষ করতে চান। বিরোধী দল এরূপ বিস্তারিত কোনো উন্নয়ন কর্মসূচি দিতে
পারেনি। বিস্তারিত আগামি খবরে আসছে সাথে থাকুন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
তুরস্ক
0 facebook: